বুয়েটে আন্দোলন আপাতত থামছে, তবে এখনই ক্লাসে যাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা

Looks like you've blocked notifications!
বুয়েটে আন্দোলনকারীদের পক্ষে কথা বলেন শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান সায়েম। ছবি : ফোকাস বাংলা

মাঠ পর্যায়ের আন্দোলনে আপাতত ইতি টানছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তবে আবরার হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের পর এর ভিত্তিতে আসামিদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত ক্লাসে যাচ্ছে না আন্দোলনকারীরা। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য ‘আমরা খুনিদের সঙ্গে একাডেমিক কালচার শেয়ার করতে পারব না।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে বুয়েট শহীদ মিনারে সাংবাদিকদের এ সব কথা জানায় আন্দোলনকারীরা। আগামীকাল বুধবার সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখে দিতে আয়োজন করা হবে গণশপথ। সেখানে অংশ নেবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়গুলো সাংবাদিকদের জানান বুয়েটের ছাত্র মাহমুদুর রহমান সায়েম। এ সময় আন্দোলনকারীরা উপস্থিত ছিল।

সায়েম বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চার্জশিট দাখিল করার পর সেটার ভিত্তিতে অপরাধীদের একাডেমিকভাবে স্থায়ী বহিষ্কার করার আগ পর্যন্ত আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো রকম একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেব না। আমরা খুনিদের সঙ্গে সেম একাডেমিক কালচার শেয়ার করতে পারব না।’ তিনি বলেন, ‘বুয়েট প্রশাসন আবরার হত্যা মামলার চলমান তদন্ত প্রক্রিয়া এবং দৃশ্যমান সদিচ্ছা ইতিমধ্যে দেখিয়েছে। আমরা সেই সদিচ্ছার প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা রেখে আগামীকাল থেকে আমাদের মাঠ পর্যায়ের আন্দোলনের আপাতত ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সায়েম বলেন, ‘আগামীকাল আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা মিলে এক গণশপথে অংশ নেব। গণশপথের মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শপথ নেব। ওই গণশপথ থেকে আমরা আমাদের মাঠ পর্যায়ের আন্দোলনের ইতি টানব।’

ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, ‘আমরা খুব সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন আপাতত ইতি টানলেও আমরা সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকব আমাদের দাবিগুলো প্রশাসন ঠিক মতো বাস্তবায়ন করছে কি না।’

মাঠের আন্দোলন বন্ধ করে এরপর কী করবেন- এমন প্রশ্নে ওই সায়েম বলেন, ‘এরপর আমাদের সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের মাধ্যমে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এবং সে ব্যাপারে আমাদের ডিএসডব্লিউ স্যারকে জানিয়ে এসেছি। এই ব্যাপারে তারা চিন্তা-ভাবনা করছেন। তারা আমাদের কাছ থেকে সময় চেয়েছেন।’

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে আবরার হত্যা মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া এবং দৃশ্যমান সদিচ্ছার কারণে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলন শেষে আবরারের প্রতি সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানায় শিক্ষার্থীরা।

সায়েম বলেন, ‘বিগত কয়েক দিন ধরে আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে,ভাইয়ের (আবরার) লাশকে পর্দা হিসেবে ব্যবহার করে আড়ালে অন্তরালে অনেক স্বার্থন্বেষী সংগঠন নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রমোট করার চেষ্টা করছে। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই এদের সাথে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।এর পাশাপাশি আমরা দেশবাসীকে আহ্বান জানাই এসব স্বার্থন্বেষী মহলের এজেন্ডা দেখে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। রাজপথে আমাদের অবস্থানকে দীর্ঘায়িত করে এ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার সুযোগ আমরা দিতে চাই না।’