স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের ওপর ‘শিবিরের’ হামলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজলা গেটে স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪০-৫০ জন নেতা-কর্মী আজ রোববার সন্ধ্যায় ওই হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তারা ইট-পাথর নিক্ষেপ করে ও দুই-একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
জামায়াতে ইসলামীর ডাকা কাল সোমবারের হরতালের সমর্থনে মিছিল করার সময় শিবিরের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালায় বলে ছাত্রলীগ, পুলিশ সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছে। হামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব হাতে আঘাত পান। হামলার ব্যাপারে ছাত্রশিবিরের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে কর্তব্যরত একাধিক পুলিশ সদস্য এনটিভি অনলাইনকে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ৪০-৫০ জন ছাত্রশিবিরের কর্মী জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে কাজলা গেটে আসে। গেটে এসে তারা ‘নারায়ে তাকবির’ বলে স্লোগান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ চার-পাঁচজন ছাত্রলীগকর্মীর ওপর আক্রমণ করে। এ সময় তারা একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ইট ছুড়ে মারে।
পুলিশ সদস্যরা জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা এগিয়ে গিয়ে শটগানের গুলি ছুড়লে শিবিরকর্মীরা পালিয়ে যায়। শিবিরের আক্রমণে বিপ্লব বাঁ হাতে সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তবে আর কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সম্মেলন শেষে সন্ধ্যায় আমরা কাজলা গেটে অবস্থান করছিলাম। এ সময় ৪০-৫০ জন শিবিরকর্মী আমাদের ওপর ককটেল, গুলি ও ইট ছুড়ে। তাদের হামলায় আমার হাতের চামড়া ওঠে গেছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘হঠাৎ করেই অনেক শিবির কর্মী মিছিল নিয়ে আসে। ওই সময় পুলিশ গুলি না করলে ছাত্রলীগের এই কয়েকজন নেতা-কর্মীকে মেরেই ফেলত।’
এ বিষয়ে নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘সন্ধ্যায় শিবিরকর্মীরা কাজলাতে মিছিল করে। এ সময় তাঁরা এক-দুটি ককটেল ফোটায়। তাৎক্ষণিকভাবে কাউকেই আটক করা সম্ভব হয়নি। আমরা তাদের ধরতে রাতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাব।’