চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক অঙ্গন ভিডসিতে বাংলাদেশের জাকির

Looks like you've blocked notifications!
সিঙ্গাপুরভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্লাটফর্ম ভিডসির বাংলাদেশ কমিউনিটি কিউরেটর খন্দকার মো. জাকির। ছবি : সংগৃহীত

সিঙ্গাপুরভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্লাটফর্ম ভিডসিতে নিয়োগ পেলেন বাংলাদেশের তরুণ নির্মাতা খন্দকার মো. জাকির। তিনি ভিডসি বাংলাদেশ শাখার কমিউনিটি কিউরেটর হিসেবে কাজ করবেন। গত ১৬ জানুয়ারি ডিডসির সহপ্রতিষ্ঠাতা ডেরেক টন কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক নিয়োগপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভিডসির হয়ে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়ে তাকে।

খন্দকার মো. জাকির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এর আগে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

জাকিরের নির্মিত গ্র্যাজুয়েট (স্বল্পদৈর্ঘ্য) ছবি ‘নাগরিক’ ভিডসি, কলকাতা ও ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবসহ দেশ-বিদেশের কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। এ ছাড়া তিনি ‘সব চরিত্র কাল্পনিক নয়’ (টেলি-ফিকশন), স্বাধীনতা শব্দটি যেভাবে আমাদের হলো (প্রামাণ্যচিত্র), ইনোসেন্ট ফেস (স্বল্পদৈর্ঘ্য), ছকপূরণসহ (স্বল্পদৈর্ঘ্য) বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন।

ভিডসি সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি অনলাইন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান। এশিয়ার বাছাইকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোকে অনলাইনের মাধ্যমে দর্শকের কাছে পৌঁছানোর কাজ করে থাকে এই প্রতিষ্ঠানিটি। একজন দর্শক বা নির্মাতা খুব সহজেই তাদের গল্পগুলো এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে দ্রুত শেয়ার করতে পারেন।

একটি ছবি বা ছবি সম্পর্কিত লেখা ভিডসি মোবাইল অ্যাপস এবং ডেস্কটপ শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে মুহূর্তেই কোটি দর্শকের কাছে পৌঁছে যায়। শুধু তাই নয়, স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিগুলোর দর্শক কমিউনিটি তৈরির মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক বাজার তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ভিডসি। এটি এশিয়ার অন্যতম প্রধান মাইক্রো সিনেমা প্লাটফর্ম।

সিঙ্গাপুরের বাইরে তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, চীন, কোরিয়া, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ আরো কয়েকটি দেশে কার্যক্রম শুরু করেছে ভিডসি। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব, নির্মাতা ও চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নেটওয়ার্ক তৈরি ও তাদের সেরা কাজগুলো ভিডসি তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দর্শকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

শুধু তাই নয়, ভিডসিতে আপলোডকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে থেকে থেকে প্রতি মাসে বাছাইকৃত একটি ছবিকে ‘সেরা শর্টি’ পুরস্কার প্রদান করা হয় যার মূল্যমান প্রায় এক হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার।  

বাংলাদেশ শাখার কিউরেটর খন্দকার মো. জাকির বলেন, ‘এটি একটি বড় দায়িত্ব। নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনের ধরন পাল্টে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এই বদলের অংশ। আর তাই বিদেশি প্রদর্শন মাধ্যমে বাংলাদেশি নির্মাতাদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে আমাদের কাজগুলোকে আর বেশি দর্শকদের কাছে নেওয়া সম্ভব হবে।’

তিনি জানান, কোনো বাংলাদেশি নির্মাতা ভিডসিতে ছবি জমা দিতে চাইলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।  ইমেইল : kmjakir@gmail.com, ফোন : +8804475048269 (বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯ টা)।