ফেসবুকে ‘সরকারবিরোধী’ মন্তব্য, ছাত্রদলকর্মীকে মারধর

Looks like you've blocked notifications!
মহিউদ্দিন মাহীকে বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ছবি : এনটিভি

ফেসবুকে সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার অভিযোগ এনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদলকর্মী মহিউদ্দিন মাহীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। 

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। মাহী মনোবিজ্ঞান বিভাগের সপ্তম ব্যাচের ছাত্র।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়,  ফেসবুকে ব্যক্তিগত পেজে সরকার ও পুলিশবিরোধী বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  শাখাওয়াত হোসেন  প্রিন্স ও ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক  ইব্রাহিম ডিয়নের পক্ষের কর্মী মহিউদ্দিন অনি, আব্দুল বারেক, সুহাইল ইসলামসহ আরো অনেকে মাহীকে মারধর করে। 

মহিউদ্দিন মাহী বলেন, ‘আমি ছাত্রদলের কর্মী বলে আমাকে মারধর করা হয়েছে। ফেসবুকে আমি সরকারবিরোধী কোনো স্ট্যাটাস দেইনি। সরকারের সমালোচনা করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মহিউদ্দিন মাহী ছাত্রদলের কর্মী। তাই তাঁর ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে ।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  শাখাওয়াত হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। যারা দেশের সরকার ও পুলিশবিরোধী এবং জঙ্গিদের উসকানিমূলক কথাবার্তা বলবে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

মাহী ফেসবুকে তাঁর ব্যক্তিগত পেজে লেখেন, ‘জঙ্গিবাদী দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে মোটামুটি সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার এবং এসব কাজে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াগুলো।’ অন্য এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নামে সারা দেশ থেকে ২০ হাজারের মতো সাধারণ ও নিরীহ মানুষ গ্রেপ্তার করেছে।’ তাঁর ফেসবুকে আরো বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস রয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘মাহীকে হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়েছে। আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’