তারেক রহমানের বক্তব্য সরানোর আদেশ বাকস্বাধীনতা হরণের চেষ্টা : ঢাবি সাদা দল

Looks like you've blocked notifications!
ঢাবির লোগো

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর জন্য হাইকোর্টের দেওয়া আদেশে উদ্বেগ প্রকাশ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপি-জামাআতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। হাইকোর্টের এই আদেশ তারেক রহমানের বাকস্বাধীনতা হরণের চেষ্টা বলেও অভিহিত করেছে শিক্ষকদের এ সংগঠন।

গতকাল মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর জন্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের দেওয়া আদেশে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এ ধরনের আদেশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সরকারের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের সহায়ক। তাই এ আদেশ প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানাচ্ছি।’

নেতারা আরও বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগ এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএনপির নেতৃত্বে চলমান গণআন্দোলনে সরকার ভীত এবং তারা অশ্বস্তিতে পড়েছে। সরকার ও আওয়ামী লীগ দেশের জনগণ এবং বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র ও দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। এ লক্ষ্যে তারা মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচারাঙ্গনকেও ব্যবহার করছে। যার একটি সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর জন্য গতকাল (সোমবার) হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ। এর মাধ্যমে তারেক রহমানের বাকস্বাধীনতা হরণের চেষ্টা করা হলো।’

বিএনপির প্রতি অন্যায়-অবিচার করা হচ্ছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, এসব অপকৌশলের মাধ্যমে সাময়িকভাবে হয়তো সরকার সুবিধা নিতে পারবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্য ও ন্যায়েরই বিজয় হবে। বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জিয়া পরিবার এবং বিএনপির বিরুদ্ধে যে অন্যায়-অবিচার করা হচ্ছে, এর পরিণাম সংশ্লিষ্টদের জন্য সুখকর হবে না। এ দেশের মানুষ এখন সচেতন, তারা প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে সক্ষম। ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেলে তারা এর সমুচিত জবাব দিবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’

অপকৌশল ও অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার ও আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণ ও স্বার্থ বিবেচনা করে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে বিযুক্ত করার সব অপকৌশল ও অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার ও আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে নিজেদের অশুভ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য পবিত্র বিচারাঙ্গনকে আর কলুষিত না করার জন্যও অনুরোধ করছি।’