রাবিতে ক্যান্টিনে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি : এনটিভি

ক্যান্টিনে বসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য সাকিবুল ইসলাম বাকিকে মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা। আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা, আশিকুর রহমান আপু, সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল, মতিহার হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ডালিম মির্জা, সোহাগ, লাবিব, ইনজামুল, মারুফ, টম, আজমি, আকাশ, রাফি, মাসুম প্রমুখ। তাঁরা সবাই বর্তমান শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিবের অনুসারী।

ছাত্রলীগ ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে হলের ক্যান্টিনে জাহিদ খেতে বসেন। একটু পর শান্ত ক্যান্টিনে এসে জাহিদের স্থানে বসতে চান। কিন্তু জাহিদ জায়গা ছাড়তে না চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে শান্তও কয়েকজন নিয়ে রিফাতের ১২৯ নম্বর কক্ষে জাহিদকে মারতে যান। তবে কক্ষ বন্ধ থাকায় তাঁরা দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন।

আরও জানা যায়, এরপর ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা কয়েকজনকে নিয়ে মীমাংসার জন্য ওই কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে থাকা জাহিদ ও রিফাতকে বাকির মারধর করেন। এ ছাড়া তাঁদের হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন ভাস্কর। এর জেরে বিকেল ৪টায় বাকির অনুসারীরা মতিহার হলের পাশে অবস্থান নেন এবং ভাস্কর সাহা বের হলে তাকে মারধর শুরু করেন। পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে সাবেক নেতা সাকিবুল ইসলাম বাকি এলে তাঁকে মারধর করেন বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা। পরে আহত হয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ‘হলে আমার অনুসারীদের মারধর করার কথা শুনে ক্যাম্পাসে আসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের পেছনে বসেছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা এসে আমাকে মারধর করে।’

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল গালিবকে একাধিকবার কল করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, খোঁজ-খবর নিচ্ছি। দ্রুতই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, 'বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, আমরা ছাত্রলীগের দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টার সমাধান করব। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রক্টরিয়াল টিম ক্যাম্পাসে টহল দিচ্ছে।