বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনিরাপদ হয়ে উঠছে : জামাল কাদেরী
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ জামাল কাদেরী বলেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন ধস ও জাহাঙ্গীরনগরে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তাতে প্রমাণ হয়, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এখানে দুর্বৃত্তায়ন ঘাঁটি গেড়ে বসেছে।’
আজ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন ধসের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। এ ছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল ও পুনরায় ভবনের গুণগত মান পরীক্ষা করে নির্মাণকাজ শুরু করার দাবিও জানানো হয় মানববন্ধনে।
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে জামাল কাদেরী আরও বলেন, ‘যদি এরকম দুর্বৃত্তায়ন ও বিতর্কিত ঘটনা ঘটতে থাকে তাহলে সেটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য নিশ্চয়তার দাবি জানাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয় একটি দেশ ও জাতির সম্পদ। শিক্ষার মান যেমন উন্নত রাখা হয়, তেমনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনও উন্নত রাখা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী থাকবে। সেই হল নির্মাণের আগেই ধসে পড়ছে। এখানে নির্মাণ কাজে এমন একটা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেটি জাতীয়ভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স যদি এতই শক্তিশালী হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অবিভাবকদের নিয়ে এর বিরুদ্ধে দাবি তুলুক। আমরা চাই উপযুক্ত পরীক্ষক দিয়ে পুরো ভবনের গুণগত মান পরীক্ষা করে তারপর কাজ শুরু করা হোক।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকিব বলেন, ‘এটাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না, কোনো গাফিলতি না থাকলে এভাবে নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ার কথা না। আজকে শ্রমিকদের জায়গায় শিক্ষার্থীরা থাকলে ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে উঠত। কিন্তু শ্রমিকদের জীবন ও শিক্ষার্থীদের মতোই মূল্যবান। ধসের ঘটনায় তদন্ত শুরু করতেও গড়িমসি করছে বিশ্ববিদ্যালয়।’
পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আমানউল্লাহ খানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর, শিক্ষার্থী সাগর হোসেন ও রমজান আলী।