জাতীয় যুবনীতি ও কর্মপরিকল্পনার ওপর ব্রিটিশ কাউন্সিলের কর্মশালা
জাতীয় যুবনীতি ও কর্মপরিকল্পনার উপর ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ ও ইয়ুথ পলিসি ফোরামের (ওয়াইপিএফ) অংশীদারিত্বে প্রথম বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেটের হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনালে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর (ডিওয়াইডি)।
আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, জাতীয় যুবনীতি ও সংশ্লিষ্ট কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ও অগ্রাধিকারের সমন্বয় হচ্ছে কি না তা বোঝা এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে মনোনীত যুব সম্প্রদায়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, উন্নয়ন পেশাজীবী, তরুণদের নিয়ে কাজ করে এমন গোষ্ঠী, শিক্ষাবিদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞ এমন ৬০জন অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বর্তমান যুবনীতি সম্পর্কে তাদের মতামত ও পরামর্শগ্রহণ করা হয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশের তরুণদেরকে প্রয়োজনীয় দক্ষতায় দক্ষ করে তুলতে ও তাদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতে পূর্ণ বিকাশে অংশীদার করতেতি বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষর করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
এই এলওআই এর অংশ হিসেবে, আটটি বিভাগীয় কর্মশালা (জাতীয় যুবনীতি ও কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক) আয়োজন করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল। প্রতিটি কর্মশালা থেকে পাওয়া তৃণমূলের তরুণ, তরুণদের সংগঠন ও অন্যান্য অংশীদারদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত কর্মশালা শেষে প্রতিবেদন হিসেবে তুলে ধরা হবে। জাতীয় যুবনীতি ও কর্মপরিকল্পনার সুপারশিগুলো তুলে ধরার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিল এই প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে সরকার, উন্নয়ন অনুশীলনকারী, তারুণ্য-নির্ভর সংগঠন, শিক্ষাবিদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজসহ অন্যান্য সংগঠনগুলোকে জড়িত করতে চায়।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) এম এ আখের বলেন, সিলেট বিভাগের সব জেলা থেকে আগত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, তরুণ উদ্যোক্তা, যুব সংগঠক, যুব-নেতৃত্বাধীন সিএসওসহ নানান অংশীজনদের অংশগ্রহণে জাতীয় যুবনীতি ও কর্মপরিকল্পনার ওপর আটটি বিভাগীয় কর্মশালার প্রথমটি আয়োজন করার জন্য আমি ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। ২০১৭ সালে প্রণীত জাতীয় যুবনীতি প্রতি পাঁচ বছর পর পর পর্যালোচনা করা হয় বলেও তিনি জানান।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর টম মিশসা বলেন, তরুণ জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে তরুণদের প্রকৃত সম্ভাবনা উন্মোচন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করতে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের জাতীয় যুবনীতি সম্পর্কে তরুণরা কী ভাবছে এবং চাচ্ছে তা জানার ক্ষেত্রে এমন গোলটেবিল বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তরুণদের উন্নয়নে একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করাই এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য বলেও জানান তিনি।