শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় উত্তাল পবিপ্রবি

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও এবং শিক্ষকদের মানববন্ধন (উপরে বামে অভিযুক্ত কর্মকর্তা শামসুল হক রাসেল)। ছবি : এনটিভি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) এক কর্মকর্তার হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা প্রো-ভিসির পিও শামসুল হক রাসেলের বিচারের দাবিতে আজ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা, আর মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা।

জানা গেছে, ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ৯টায় পবিপ্রবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত কৃষিকুঞ্জের ডাইনিং কক্ষে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে।

এর পরের দিন শিক্ষক সমিতির কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত রাসেল গত শনিবার ডাইনিংয়ে তাঁকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং উপস্থিত অন্য শিক্ষকদের সামনেই শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এর পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। বর্তমানে তিনি জীবননাশের হুমকিতে রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন লিখিত অভিযোগে।

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা সামসুল হক (রাসেল) বলেন, ‘ওই শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। এর বাইরের অভিযোগগুলো মিথ্যা।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ বলেন, ‘ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিক্ষক আমাকে মুঠোফোনে বিষয়টি অবগত করেছেন।’

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান মিয়া মুন্না জানান, এ ঘটনায় রোববার দুপুরেই শিক্ষক সমিতির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।

ওই কর্মকর্তার প্রো-ভিসির কার্যালয় পিও বলে কোনো পদ নেই, তার পরও কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা এর আগেও মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন মণ্ডল এবং কৃষি অনুষদের প্রফেসর হামিদুর রহমানসহ অনেক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছেন বলে একাধিক সূত্র জানায়।

অভিযুক্ত কর্মকর্তা রাসেলের গ্রামের বাড়ি বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। তাঁকে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের প্রসাশনিক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি এবং শিক্ষকদের মানববন্ধনে উত্তাল পবিপ্রবি।  যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, দাপ্তরিক কাজে তিনি বর্তমানে ঢাকায় আছেন। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।