ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ও একটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ফলাফলে ধস নামানোর অভিযোগে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যৌন হয়রানির প্রকৃত সত্যতা যাচাই করতে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ। দুই সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে এ কমিটিকে।
একই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ফলাফলে ধস নামানোর অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারকে। কমিটির বাকি দুজন সদস্য হলেন—গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহামেদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে ফলাফলে ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২২ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। এরপর বাড়তে থাকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সংখ্যা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিভাগের এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আরেকটি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন রাজধানীর আরেকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। সেখানে অতিথি শিক্ষক হিসেবে একটি কোর্স নিতে যেতেন তিনি। শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ও নানা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে আছেন অধ্যাপক নাদির জুনাইদ।