বাকৃবি শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিচারের দাবিতে তারা এ মানববন্ধন করেন।
কৃষি-অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক হারুন আর রশিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মালয়েশিয়ান নারী শিক্ষার্থী অভিযোগটি করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আজ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষক হারুন আর রশিদ বাকৃবির বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালি দলের’ নির্বাচিত সভাপতি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ওই শিক্ষার্থী বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফজলুল হক ভুইয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশে মালয়েশীয় হাইকমিশনকে যৌন নিপীড়নের বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চান। এ ছাড়া বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়েছিলেন। এ সময় সঙ্গে তার মা-কে নিয়ে যান। কিন্তু কোনো অভিযোগ দেননি। এ ছাড়া ওই শিক্ষার্থী গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ত্যাগ করে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন।
উপাচার্যের কাছে দেওয়া অভিযোগে ভুক্তভোগী দাবি করেন, অধ্যাপক হারুন আর রশিদের বাগানবাড়ির বিপরীত দিকের বাসার ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কোনো একদিন ওই শিক্ষক তার (শিক্ষার্থীর) বাসায় জোর করে প্রবেশ করেন। তাকে যৌন নির্যাতন করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ভয়ভীতিও দেখান শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ফজলুল হক ভুইয়া এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, ‘বুধবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরে সাড়ে ৪টার দিকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিতে ড. মাহবুব আলম, ড. মনির হোসেন, ড. মিনারা খাতুন, ড. শহিদুল আলম ও ড. আবদুল্লাহ ইকবাল রয়েছেন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান উপাচার্য অধ্যাপক ফজলুল হক ভুইয়া।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যাপক হারুন আর রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেননি। এমনকি পরে পরিচয় দিয়ে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও এর কোনো জবাব দেননি।