রুয়েটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ চারজন আজীবন বহিষ্কার

জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখার সভাপতি ফাহমিদ লতিফ লিয়ন ও সাধারণ সম্পাদক সৌমিক সাহাসহ চারজনকে আজীবন বহিষ্কার করেছে রুয়েট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে আরও ৪৪ জনকে শাস্তিপ্রদান করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক।
আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন—নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রুয়েটের সভাপতি ও পুরকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী ফাহমিদ লতিফ লিয়ন, সাধারণ সম্পাদক ও সিএসই বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সৌমিক সাহা, যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী শাশ্বত সাহা সাগর এবং পুরকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মৃন্ময় কান্তি বিশ্বাস।
রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ও ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রুয়েট প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। এসব অভিযোগ যাচাই করে দেখা যায়, অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে অর্ডিন্যান্স রয়েছে সেটির ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য চার শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।’
২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে হলের বিভিন্ন কক্ষে অস্ত্র ও মাদকসহ নিষিদ্ধ দ্রব্যাদি রাখার দায়ে ৪২ জনকে আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। অপরদিকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় দুই শিক্ষার্থীকে চার সেমিস্টার বা দুই শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া রুয়েটের প্রকৌশল শাখার সহকারী প্রকৌশলী নাঈম রহমান নিবিড়, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ডাটা প্রসেসর মো. মহিদুল ইসলাম, শিক্ষা শাখার সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার এ কে এম আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রুয়েটের সংশ্লিষ্ট ফোরামে অনুরোধ করা হয়েছে।