মাগুরার ঘটনার বিচার ও নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে ইবিতে মানববন্ধন

জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে—‘ধর্ষক সমাজের ঘুণপোকা, ধর্ষণ হলো ব্যাধি’, ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই’, ‘মাগুরার ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত নরপশুর বিচার চাই’, ‘ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে’, ‘আশ্বাস নয়, আইনের বাস্তবায়ন চাই’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াশিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রাব্বানী, ইসমাইল হোসেন রাহাত, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, সায়েম আহমেদসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো ডকুমেন্টেড। আমরা এসব ঘটনার শাস্তি নিশ্চিত করতে পারছি না, নানা পন্থায় বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। আজ আমরা ন্যায়বিচারের দাবিতে এখানে দাঁড়িয়েছি। যদি সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
নাহিদ আরও বলেন, নারীদের ন্যূনতম হেনস্তারও বিচার করতে হবে এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় এই দেশে মা-বোনেরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এস সুইট বলেন, জুলাই বিপ্লবে প্রথম সারিতে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল সবচেয়ে বেশি। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রথম নারী দিবসে আমরা বেদনাবিধূর সময় পার করছি। মাগুরায় চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যা খুবই নিন্দনীয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে এই প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবি জানাই।
সমন্বয়ক সুইট আরও বলেন, মাগুরার ঘটনায় ভুক্তভোগীর উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হলে তাকে দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থাও করা উচিত। গত ১৫ বছরে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তা থেকে বেরিয়ে এসে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।