ধর্ষণে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে উত্তাল ঢাবি ক্যাম্পাস

ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনার তদন্তে স্বচ্ছতা এবং দোষীদের প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজ রোববার (৯ মার্চ) দিনব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাস। এদিন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা একযোগে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার অপসারণের দাবি তোলেন।
বেলা ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্য, অপরাজেয় বাংলা, কার্জন হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এবং বিভিন্ন বিভাগের সামনে জমায়েত হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। ঢাবির ৩৬টি বিভাগের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে যোগ দেন। বিক্ষোভকারীরা ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’ এবং নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলেন পুরো এলাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে শিক্ষকরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান। তারা অভিযোগ তোলেন, নারী নির্যাতনের মামলাগুলোতে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বিচার প্রক্রিয়ায় গড়িমসি চলছে।
লোক প্রশাসন, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইংরেজি ও ভূতত্ত্বসহ ৩৮টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ধর্ষণে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। অংশগ্রহণকারী বিভাগগুলোর তালিকায় আরও রয়েছে ইসলামের ইতিহাস, দর্শন, গণিত, টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজ ও সমাজকল্যাণ বিভাগ।

দিনভর উত্তাপ বিরাজ করার পর আজ রোববার (৯ মার্চ) রাতেও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিভাগ ও হলের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এরপর তারা মশাল মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর হয়ে, বিভিন্ন হলের সামনে দিয়ে শাহবাগ হয়ে রাত ৯টার দিকে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে পৌঁছেন।

এ বিষয়ে টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজের শিক্ষার্থী কাজী ওবায়দুল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি। জড়িতদেরকে জনসম্মুখে এনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।’