কিছু কেন্দ্রে এজেন্ট সংকট আইভী-তৈমূরের
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোট চলাকালে কয়েকটি কেন্দ্রে দেখা যায়, মেয়র প্রার্থীদের এজেন্ট সংকট রয়েছে। আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে বেলা ১১টা দেখা যায়–কয়েকটি বুথে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর এজেন্ট নেই। আবার, পাশের দুটি বুথে হাতি মার্কার প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের পক্ষে এজেন্ট নেই।
একইভাবে নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি বুথে নৌকার পক্ষের এজেন্ট নেই। অপরদিকে, একটি বুথে হাতি মার্কার এজেন্ট নেই।
এ ছাড়া বন্দর এলাকার কয়েকটি কেন্দ্র, চাষাড়া মহিলা কলেজ কেন্দ্র, সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার কয়েকটি কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে উভয়প্রার্থীর এজেন্ট সংকট দেখা গেছে। তবে, নির্বাচনে দুপুর সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটারেরা স্বাভাবিকভাবে ভোট দিয়ে যাচ্ছেন।
আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ১৯২টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট চলবে।
তৈমূর আলম খন্দকার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার প্রতিটি কেন্দ্রে এজেন্ট দিয়েছি। বাসায় গিয়ে অনেককে হুমকি দেওয়া হয়েছে। মামলার ভয়ে আসতে পারেননি কেউ কেউ। পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করবে বলে আশা করি।’
নৌকার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘কিছু জায়গায় এজেন্ট পৌঁছায়নি, আমার দিক থেকে চেষ্টা করছি সব জায়গায় দিতে। কিন্তু কেন গেল না তা জানি না।’
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আরও বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ইভিএম মেশিনে সমস্যা হচ্ছে শুনেছি। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করছি।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এজন্য নারায়ণগঞ্জে দুই হাজার ৯১২টি ইভিএম মেশিন আনা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনের তুলনায় দেড়গুণ ইভিএম রয়েছে।
ইসি থেকে জানানো হয়, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পেনাল কোডের অধীনে তাঁরা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনা করবেন।
নির্বাচনের প্রধান আকর্ষণ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে। নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা ও আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রের এক হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে চার জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও রয়েছেন।
২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নয়টি ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৩৪ জন প্রার্থী।