সুষ্ঠু ভোটে হারলেও ফল মেনে নেব : আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

Looks like you've blocked notifications!
সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আজ বুধবার শাহজালাল ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটে হারলেও ফল মেনে নেব।’ আজ বুধবার (২১ জুন) সিলেটের শাহজালাল ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বাকি তিনটির মতো এই সিটি নির্বাচনেও ভোট হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। কেন্দ্রে ভোট পরিস্থিতি এবারও সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ নগরীতে মোট ভোটার চার লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি ও ভোটকক্ষ এক হাজার ৩৬৪টি। ২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদর উদ্দিন কামরান ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে, এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হননি।

এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম (বাবুল), জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা, শাহ জাহান মিয়া, ছালাহ উদ্দিন ও আবদুল হানিফ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান নির্বাচন বর্জন করেছেন। 

এ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নগরীতে আড়াই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মাঠে আছে বলে জানিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন কমিশনার ইলিয়াছ শরিফ বলেন, ‘১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪২টি ওয়ার্ডে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। আছেন প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যও। প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে পুলিশের ৪২টি মোবাইল টিম, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে ১৪টি স্ট্রাইকিং টিম ও ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম রয়েছে। পাশাপাশি ভোটের মাঠে টহল দিচ্ছে র‌্যাবের মোট ২২টি টিম ও ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য।’