১৮ বুথের ভোটার ৯ হাজার ৯১৩, ভোট পড়েছে ৪২৪
রাজধানীর কড়াইল বস্তির পাশে টি অ্যান্ড টি আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে দুটি পুরুষ ও দুটি নারীসহ মোট চারটি কেন্দ্র রয়েছে। চার কেন্দ্রের কক্ষ সংখ্যা ১৮টি। মোট ভোটার ৯ হাজার ৯১৩ জন। কিন্তু আজ সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৪২৪টি।
দুপুর ১২টার পরপরই চারটি কেন্দ্রর ১৮টি বুথে প্রবেশ করে ও ভোটার তালিকা দেখে এবং চারজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ স্কুলে ভোট পরিদর্শনে এসে হিরো আলম অভিযোগ করেছেন, তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে, তাঁর এ অভিযোগ অস্বীকার করে চারজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলছেন, এখানে হিরো আলম কেন্দ্রের বুথে পরিদর্শনে আসেননি। তিনি কেন এ অভিযোগ করেছেন, তা কর্মকর্তারা বুঝতে পারছেন না।
এ স্কুলের কেন্দ্র নম্বর শুরু ৭৫ থেকে। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা পাঁচটি। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ৬২২ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৬৭টি। আমার কেন্দ্রে নৌকা ও লাঙলের এজেন্ট ছাড়া আর কোনো এজেন্ট আসেনি। আমি কাউকে পাইনি। কাউকে বের করে দেওয়া হয়নি। আমি আরও খুঁজেছি, হিরো আলমের এজেন্ট আছে কি না।’
এ স্কুলের ৭৬ নম্বর কেন্দ্রে পাঁচটি কক্ষ রয়েছে। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তুষার সিংহ বলেন, ‘আমার পাঁচটি কক্ষের মোট ভোটার দুই হাজার ৫৯৬ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি হয়েছে ১২৬ জন। আমার দুটি কক্ষে প্রথমে হিরো আলমের একতারা প্রতীকের দুজন এসেছিলেন। কিন্তু, তাদের কাগজপত্র ছিল ৭৮ নম্বর কেন্দ্রের। পরে আমি তাদের ওই কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিই। এখন আমার কেন্দ্রে একতারার কোনো এজেন্ট নেই।’
তুষার সিংহের কথা যাচাই করতে এ প্রতিবেদনক ৭৮ নম্বর কেন্দ্রে যান। গিয়ে দেখা যায়, সেখানে দুজন একতারার এজেন্ট বসে আছেন। তারা ভুল করে ৭৬ নম্বর কেন্দ্রে চলে যান বলে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
৭৭ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার কেন্দ্রের চারটি কক্ষ রয়েছে। এখানে মোট ভোটার দুই হাজার ৩৫৮ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ৬১ জন। আমার এখানে নৌকা, একতারা আর গোলাপ ফুলের সব এজেন্টই আছে।’
৭৮ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউর রহমান বলেন, ‘এখানে মোট ভোটার দুই হাজার ৩৩৭ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ৭০ জন। ভোটার উপস্থিতি খুব কম। জানি না কেন কম। তবে, আমরা আশা করব আরও উপস্থিতি বাড়বে।’