যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে : সিইসি
খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ি জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেছেন, যে কোনো মূল্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে। কোনোরকম বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, পরিবেশটা যেন অনুকূল থাকে, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অডিটোরিয়ামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন সিইসি। এ সময় সেখানে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ ১৩ জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের ২৯০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ। বৈঠক শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের ভেতরে আমরা থাকব না। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররা থাকবেন। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোনোরকম অনিয়ম, কারচুপি, দখলদারিত্ব, পেশীশক্তির প্রয়োগ যেন না হয়, সে বিষয়ে তাদের ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে বলা হয়েছে। এসব কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার বিষয়টি যেন নিশ্চিত করা হয়, সে বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসারদেরই মূল দায়িত্বটা পালন করতে হবে। উনারাই নির্বাচন কমিশন, উনারাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সমস্ত ক্ষমতা উনাদের ডেলিগেট করে দেওয়া হয়েছে। তাদের এ দায়িত্ব নিতে হবে। সুচারু ও সুষ্ঠুভাবে এ দায়িত্ব পরিসমাপ্ত করতে হবে, এ বার্তাও তাদের দেওয়া হয়েছে।’
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এসব ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে। যদি দায় নিরূপণ করতে পারি তাহলে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দু-চারটা এরকম ঘটনা ঘটবে। ব্যাপকভাবে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিধিবিধান অনুসরণ করে কঠোরভাবে তা প্রতিহত করবেন।’
পরে বিকেলে একই স্থানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যশোর জেলার ছয়টি আসনের ৩২ জন প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।