গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে লাখো শহীদের রক্তে ভেজা সংবিধানকে বাঁচাতে হবে : ওবায়দুল কাদের

Looks like you've blocked notifications!
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের বসুরহাটে নির্বাচনি পথসভায় আজ শুক্রবার বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে লাখো শহীদের রক্তে ভেজা সংবিধানকে বাঁচাতে হবে। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অর্জনকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের বসুরহাটে নির্বাচনি পথসভায় আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে  ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি এ সময় দলীয় প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। ফাউল করলে খবর আছে। আমরা কারও জন্য তদবির করব না। 

কাদের বলেন, ফাইল করে বিএনপি লাল কার্ড পেয়েছে। খেলা হবে, খেলা হবে, ১৮৯৬ জন খেলোয়ার আছে। এখানেও আমিসহ পাঁচজন। বিএনপির উদ্দেশ করে তিনি নেতাকর্মীদের বলেন, ‘বিএনপি নেই বলে খেলোয়ার নেই?’

ফাইনাল খেলা ৭ জানুয়ারি উল্লেখ করে কাদের বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশে  নির্বাচনকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে লাখো শহীদের রক্তে ভেজা সংবিধানকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার আদর্শকে রক্ষা করতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অর্জনকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

এ সময় ওয়াবদুল কাদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করে দূর থেকে এসেছেন। আপনারা কাউকে ভয় পাবেন না। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার কর্মী। কোনো অপশক্তির নাশকতাকে আমরা ভয় পাই না। আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না। তিনি বলেন, জনগণের কাছে বলছি, আমার বিগত আমলে আপনাদের সাথে যদি আমার ভুল বুঝাবুঝি হয় দয়াকরে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। 

এদিকে আজ বিকেলে সাড়ে ৩টায় বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের মিয়া বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা। এ সময় তার ছোট ভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।