স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন

Looks like you've blocked notifications!
এসকান্দার খাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী তাহমিনা বেগম (ইনসেটে এসকান্দার খান)। ছবি : এনটিভি

মাদারীপুরের কালকিনিতে এসকান্দার খা (৬৫) নামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা। এ সময় কালকিনি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার দাবি করেন। এই ঘটনার বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী তাহমিনা বেগম।

নিহত এসকান্দার মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা সিদ্দিকীর কর্মী ও উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার ভাটাবালী গ্রামের আয়ুব আলী খার ছেলে। আজ শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী এসকান্দার খা শনিবার ফজরের নামাজ শেষে বাড়ির দিকে রওনা দেন। পথিমধ্যে নৌকার প্রার্থীর কিছু সমর্থকরা এসে এসকান্দারকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি পেটা করে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এসকান্দার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার এ মৃত্যুর খবরে মাদারীপুর-৩ নির্বাচনি পুরো এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

নিহত এসকান্দার আলী খার ছেলে মিলন খা বলেন, আমার বাবাকে নৌকার লোকজনে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই। আমার বাবা তাহমিনা বেগমের ঈগল মার্কার সমর্থক ছিল।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী ও লক্ষ্মীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল বেপারী বলেন, এসকান্দার মারা গেছে তার পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে, কোন রাজনৈতিক কারণে নয়। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কুচক্রিমহল উঠে পড়ে লেগেছে আমাদের বিরুদ্ধে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের নির্বাচনি পরিচালনা কমিটির সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈগল মার্কার শান্তিপূর্ণ মিছিলে বোমা হামলা করে ১০ জনকে আহত করেন নৌকার সমর্থকরা। ওই ঘটনায় প্রশাসন কঠিন ব্যবস্থা নিলে শনিবার পুনরায় ঈগলের সমর্থক এসকান্দার খাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটতো না।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলাউল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এই ঘটনার বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী তাহমিনা বেগম। তিনি দাবি করেন, তার কর্মী এসকান্দার খাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান এবং মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আব্দুস সোবহান গোলাপের সমর্থক লোকমান সরদার বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এসকান্দার খা নিহত হয়েছে। এখানে কোন রাজনৈতিক বিরোধ নেই। তবে এ ব্যাপারে আব্দুর সোবহান গোলাপের নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।