প্রার্থিতা নিয়ে নৌকার বাহারের শুনানি চলছে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পরে বারবার নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় কুমিল্লা-৬ আসনের নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহারউদ্দিন বাহারের প্রার্থিতা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে ব্যাখ্যা প্রদানের শুনানি শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। বিকেল সাড়ে তিনটায় সিইসির সভাকক্ষে এই শুনানি শুরু হয়।
আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন এই শুনানি শুরু করে। শুনানিতে নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার সশরীরে উপস্থিত হয়েছেন।
এর আগে বাহারকে দেওয়া ইসির চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী তারা একাধিকবার নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম করেছেন ও আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। এজন্য তাদের নির্বাচনি তদন্ত কমিটি কারণ দর্শাতে একাধিকবার নোটিশও দিয়েছিলেন।
চিঠিতে কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না, সে ব্যাখ্যা দিতে বাহারকে ২৭ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটায় ইসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠিত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাহারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। অনুসন্ধান কমিটি তার সুপারিশে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও) ও নির্বাচনি আচরণবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে।
উল্লেখ্য, আরপিও’র সংশ্লিষ্ট ধারা মতে এক বছর থেকে পাঁচ বছরের সাজা ও অর্থদণ্ড এবং নির্বাচনি আচরণবিধির অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ছয় মাসের সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্বাচনি প্রচারণার সময় তারই উপস্থিতি ও নির্দেশে বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভির রিপোর্টার ও ক্যামেরাম্যানের ওপর হামলা করা হয়। তাদের ডিভাইস ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া নির্বাচনি এলাকায় এক উঠান বৈঠকে ‘যদি কোনও বিএনপি এবং জামায়াতের কোনও কর্মীকে কোনও প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া যায়, তার হাত-ঠ্যাং ভেঙে দেবেন আপনারা, আমি আ ক ম বাহাউদ্দিন আপনাদের সঙ্গে আছি’ মর্মে বক্তব্য দেন বাহাউদ্দিন বাহার। অনুসন্ধান কমিটি এ বক্তব্যকে আচরণবিধির লঙ্ঘন উল্লেখ করে একই ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থারও সুপারিশ করেছে।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আচরণবিধি ও প্রার্থীদের বিভিন্ন জায়গায় অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।