নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন শুরু হয়েছে গণনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমিনুল হকের মৃত্যুর কারণে ওই আসনের ভোটগ্রহণ বাতিল করে পুনতফসিলের পর আজ ভোটগ্রহণ করা হলো। সেখানে লড়ছেন চার প্রার্থী। তবে, মূল লড়াই চলেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থীর মধ্যে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টি-জাপার অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এইচ এম আখতারুল আলম ও মো. মেহেদী মাহমুদ রেজা।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে ভোটার তিন লাখ ৫৬ হাজার ১৩২ জন। ভোটগ্রহণ হবে ১২৪টি কেন্দ্রে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় সাধারণ কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও ব্যাটেলিয়ন আনসারে ১৬ জনের ফোর্স নিয়োজিত রাখা হয়েছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ১৭ জনের ফোর্স।
এ ছাড়া ভোটের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত করা হয়েছে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের ৩১টি মোবাইল ও সাতটি স্ট্রাইকিং ফোর্স। দায়িত্ব পালন করছে র্যাবের চারটি টিম ও আট প্লাটুন বিজিবি। আটজন নির্বাহী ও দুইজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলার পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলা নিয়ে নওগাঁ-২ আসন গঠিত। গত ২৯ ডিসেম্বর এই আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপর আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ভোট চলাকালে নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং অফিসার মো. গোলাম মওলা জানান, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য রয়েছে। এ ছাড়া গড়ে প্রতি চারটি কেন্দ্রের জন্য একটি করে পুলিশের মোবাইল টিম রয়েছে। রয়েছে স্ট্রাইকিং টিম ও রিজার্ভ টিম। এর বাইরেও রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। র্যাব, বিজিবি, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ রয়েছেন নির্বাচনি দায়িত্বে। এক কথায় পুরো এলাকাকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। কেউ ন্যূনতম কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করলে, তার বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।