১৩০ উপজেলায় ব্যালটে, ২২ উপজেলায় ইভিএমে ভোট

Looks like you've blocked notifications!
ব্যালট বাক্স ও ইভিএম। ফাইল ছবি

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫২টিতে ভোট হবে আগামী ৮ মে। সেদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। ব্যালট ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) উভয় মাধ্যমে ভোট নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ৯ জেলার ২২ উপজেলায় ভোট নেওয়া হবে ইভিএমে। আর ১৩০টিতে ভোট হবে ব্যালটে।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভা শেষে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় এ তথ্য দেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

অশোক কুমার দেবনাথ জানান, প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএমে মাধ্যমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ জেলার ২২ উপজেলায় ইভিএমে ভোট হবে। জেলাগুলো হলো—শরীয়তপুর, চাঁদপুর, জামালপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, পিরোজপুর, মানিকগঞ্জ ও কক্সবাজার।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘৪৫ হাজার ইভিএম ভালো আছে। সেগুলো দিয়ে প্রথম ধাপের ২২টি উপজেলায় ভোট করতে পারব।’

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব জানান, তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে।

ঈদের ছুটি চিন্তা করে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে ধাপগুলো তারিখ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে জানিয়ে এই অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, প্রথম ধাপ ছিল ৪ মে। সেখানে ৮ মে করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ২৩ মে। তৃতীয় ধাপের নির্বাচন হবে ২৯ মে। চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

ইসির অতিরিক্ত সচিব জানান, উপজেলার নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

প্রচারে প্রার্থীদের রঙিন পোস্টার ব্যবহারে কোনো বাধা নেই জানিয়ে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পরে প্রচার প্রচারণা শুরু করা যাবে। তবে অনলাইনে ও পাঁচজন মিলে প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচার প্রচারণা করা যাবে।