আইনস্টাইনের চেয়েও বুদ্ধিমান নিকোলা?

Looks like you've blocked notifications!

প্রিয় ছোট্ট বন্ধুরা, তোমাদের জন্য রয়েছে এক বিস্ময়কর এবং মজার খবর। তার আগে জিজ্ঞেস করে নেই, আইনস্টাইন এবং স্টিফেন হকিংসের নাম তোমার নিশ্চই শুনেছ? শুনবেই না বা কেন, তারা তো হচ্ছেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। আলবার্ট আইনস্টাইনের বাড়ি ছিল জার্মানিতে, মারা গেছেন বেশ আগেই। কিংবদন্তী স্টিফেন হকিংস কিন্তু এখনো বেঁচে আছেন, তাঁর বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে। বিজ্ঞানীদের মাথায় কত বুদ্ধি তা তো তোমরা ভালো করেই জান। তোমরা যাকে আইকিউ বলো, তাই হচ্ছে মূলত বুদ্ধি। অর্থাৎ যার আইকিউ যত বেশি, সে হলো তত বেশি বুদ্ধিমান। বিশ্বের এ রকম বেশি বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের একটি সংগঠন রয়েছে, তার নাম মেনসা। মেনসা ১৯৪৫ সালে ইংল্যান্ডে গঠিত হয়। এটি একটি বিখ্যাত সংগঠন। বিশ্বজুড়ে মেনসার সদস্য এক লাখ।

ইংল্যান্ডে মেনসার সদস্য সংখ্যা ২০ হাজারের মতো, সেখানে ৮ শতাংশ সদস্যের বয়স ১৬ বছর কিংবা তার কম। এই সংগঠনই মানুষের আইকিউ বা বুদ্ধি পরিমাপ করে থাকে। তাদের মতে গড়ে একজন মানুষের আইকিউ স্কোর থাকে ১০০। সেটা ১৪০ হলে বলা হয় 'জিনিয়াস', আর ১৬২ হচ্ছে সর্বোচ্চ স্কোর। বিজ্ঞানীদের আইকিউও এরা মেপেছে। আইনস্টাইন যখন বেঁচে ছিলেন তখন অবশ্য এত আধুনিক আইকিউ টেস্ট ছিল না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, আইনস্টাইন বেঁচে থাকলে তিনি টেস্টে ১৬০ পেতেন। এ ছাড়া ইংলিশ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এবং সফটওয়্যার কোম্পানি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের আইকিউ স্কোর ১৬০।

আসল কথাই তো তোমাদের বলা হয়নি। তোমাদেরই এক ছোট্ট বন্ধু নিকোলা বার, বয়স মাত্র ১২ বছর। সে বুদ্ধিতে ছাড়িয়ে গেছে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, স্টিফেন হকিংস কিংবা বিল গেটসকেও। কি, বিশ্বাস হচ্ছে না তো? মেনসার আইকিউ টেস্টে নিকোলা বার পেয়েছে ১৬২ স্কোর! বিস্ময়ের খবর, তাই না? নিকোলার বাড়ি ইংল্যান্ডের এসেক্সের হার্লোয়ারে। ওর বাবার নাম জেমস এবং মায়ের নাম ডলি বাকল্যান্ড। জেমস একজন সাধারণ পরিচ্ছন্নতাকর্মী। এখন নিকোলাকে নিয়ে তাই মাতামাতি চলছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে। চলবেই তো, সে একজন মাত্র ১২ বছর বয়সের কিশোরী, এই বয়সেই বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান। গত সপ্তাহে আইকিউ টেস্টের ফল পাওয়ার পর নিজের চোখকেই নাকি বিশ্বাস হচ্ছিল না নিকোলার। বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে এই বিস্ময় বালিকা ইংলিশ দৈনিক মিররকে বলেছে, '১৬২-র মধ্যে ১৬২, সত্যিই অবিশ্বাস্য। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম কিছুক্ষণ।'  মেয়ের কৃতিত্বে গর্বিত বাবা জেমস বললেন, 'আমার মেয়ের সাফল্যই বলছে মেধাবীরা আসতে পারে সমাজের যেকোনো পর্যায় থেকেই।' 

আসলেই তো! মেয়ের সাফল্যে জেমসের মতো খুশি নিকোলার মা ডলি বললেন- 'সেই ছোট্টটি থেকে ম্যাগাজিন বা বইয়ের ভুল ধরত ও। মেয়েটা ভীষণ পরিশ্রমী। স্কুল শেষে হোমওয়ার্ক করে ফেলত, ক্লাস মিস করেনি একটা দিনও। পড়াশোনার পাশাপাশি গান আর নাটকে অভিনয় করাটাও পছন্দের নিকোলার।' পড়াশোনা শেষে নিকোলা হতে চায় একজন ডাক্তার।