পশু যখন চিত্রশিল্পী!

Looks like you've blocked notifications!

পশুর চিত্রকর্ম, সেগুলোর আবার প্রদর্শনীও হয়েছে! কী অবিশ্বাস্য কাণ্ড তাই না? এ কথা যেন বিশ্বাসই করা যায় না। কিন্তু আসলেই এমনটা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ড চিড়িয়াখানার পশুপাখিরা এসব ছবি আঁকে। পরে সেগুলো মানুষের আঁকা চিত্রকর্মের মতো প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, নিলামের মাধ্যমে বিক্রিও করা হয়। ওই চিড়িয়াখানার সিংহ, বানর, সাপ, হাতি, জিরাফ, লেমুর, ছাগল, তোতা পাখি আর বাঁদুড়সহ অন্য প্রাণীরা মিলে ছবিগুলো এঁকেছে। তাদের ছবির পরিমাণ মোট ৩২টি। হেডলাইন্স অ্যান্ড গ্লোবাল নিউজের খবরে পাওয়া গেছে এ খবর।

পশুদের আঁকা এই ছবিগুলোর মাধ্যমেই বোঝা যায় যে, মানুষের মতো পশুপাখিদেরও রয়েছে সৃজনশীলতা। মার্গারেট রুশার, অকল্যান্ড চিড়িয়াখানার একজন ব্যবস্থাপক, তিনি বলেন ‘ছবি আঁকার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো তুলি। তবে ওই প্রাণীদের সবাই কিন্তু তুলির ব্যবহার করেনি। কেউ কেউ তুলির বদলে ছবি এঁকে ফেলেছে আঙুল দিয়েই।’ তিনি আরো বলেন, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ পশুদের সামনে ক্যানভাস এবং রঙ রেখেছিলো, সেখান থেকে ওই পশুশিল্পীরা রঙ পছন্দ করে ছবিগুলো এঁকেছে। প্রদর্শনীটি আয়োজন করেছে ইবে। প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত প্রতিটা ছবিই নিলামে বিক্রি হবে। নিলামের সর্বনিম্ন মূল্য ধরা হয়েছে ২০০ ডলার। পশুপাখিদের দিয়ে ছবি আঁকানোর জন্য জুলাই এবং আগস্ট মাসে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ওই কর্মশালায় অনেক প্রাণীই নাকি বেশ দক্ষতারই প্রমাণ দিয়েছে। গত বছরও এ রকম একটা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, সেখানে প্রাণীদের আঁকা ছবি নিলামে বিক্রির মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার ডলারের তহবিল জোগাড় করেছিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। ছবি আঁকতে কোনো প্রাণীকে বাধ্য করা হয়নি, বরং নিজেদের ইচ্ছায় তারা কাজটি করেছে বলে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এই নিলাম শুরু হয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। ১০ দিনব্যাপী প্রদর্শনীটি চলবে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নিলামে আয়কৃত অর্থ চিড়িয়াখানার সদস্যদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে বলে জানায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।