দুনিয়াজোড়া দেশ

জাপানের কথা

Looks like you've blocked notifications!

জাপানকে বলা হয় ‘নিশীথ সূর্যের দেশ’। প্রযুক্তির জগতে শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে দেশটি। জাপান সম্বন্ধে সংক্ষেপে জেনে নেওয়ার মতো কিছু তথ্য রয়েছে সায়েন্সকিডজ ওয়েবসাইটে।

১. জাপানি ভাষায় দেশটির নাম ‘নিহন’ বা ‘নিপ্পন’—এভাবে বলা হয়ে থাকে।

২. জাপান একটি দ্বীপরাষ্ট্র। ছয় হাজার ৮৫২টি দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই দেশ।

৩. জাপানের সর্বোচ্চ চূড়া হলো ফুজি পর্বত, এর উচ্চতা তিন হাজার ৭৭৬ মিটার বা ১২ হাজার ৩৮৮ ফুট।

৪. ২০১২ সালের হিসাব অনুসারে জাপান পৃথিবীর দশম জনবহুল দেশ। এখানে প্রায় ১৩ কোটি মানুষের বসবাস।

৫. টোকিও জাপানের রাজধানী, সেই সঙ্গে সবচেয়ে বড় শহর। এ ছাড়া জাপানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে রয়েছে ওসাকা, নাগোয়া ও সাপ্পোরো।

৬. জাপানে অজস্র আগ্নেয়গিরি থাকায় এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। ২০১১ সালে এ দেশে রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল।

৭. জাপানের মোট ভূখণ্ডের তিন-চতুর্থাংশই হয় বনভূমি অথবা পাহাড়ি অঞ্চল। এ কারণে এখানে কৃষিক্ষেত্র বা শিল্প এলাকা গড়ে তোলা বেশ কঠিন।

৮. জাপানের প্রাচীন যোদ্ধাদের বলা হয় সামুরাই। তাঁরা দুর্ধর্ষ যোদ্ধা ছিলেন, তলোয়ারে তাঁদের দক্ষতা অসামান্য। সামুরাই যোদ্ধাদের তলোয়ারের নাম ‘কাতানা’।

৯. জাপানে মাঝেমধ্যেই এসিড বৃষ্টি হয়।

১০. রোবোটিকস বিদ্যায় জাপানের অবস্থান পৃথিবীতে সবার আগে। এ ছাড়া পৃথিবীর সেরা সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান যেমন টয়োটা, হোন্ডা, সনি, নিনটেন্ডো, ক্যানন, প্যানাসনিক, তোশিবা, শার্প—এগুলো জাপানে অবস্থিত।

১১. জাপানি খাবারের কদর দুনিয়াজোড়া। সুশি, সাশিমি আর টেম্পুরা সবার কাছেই লোভনীয় এক খাবারের নাম।

১২. জাপানকে মার্শাল আর্টের আদিভূমি বলা হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের মার্শাল আর্ট চালু রয়েছে, যেমন—কারাতে, জুডো, সুমো, নিনজুৎসু, কেন্ডো, জুজুৎসু, আইকিডো ইত্যাদি। সুমো লড়াই জাপানের জাতীয় খেলা হিসেবে স্বীকৃত।