কুকুরছানার মজার ঘর

Looks like you've blocked notifications!
‘কুকুরছানার ঘর’-এর ছানারা বড়ই নিরীহ! ছবি : বোরড পান্ডা

মন-মেজাজ খারাপ। কোনোকিছুই ভালো লাগছে না। এমন সময় যদি একটি হৃষ্টপুষ্ট কুকুর এসে আপনার সাথে খেলা করে, লেজ নাড়িয়ে আদর চায়- মেজাজ কি আর গোমড়া থাকবে? পশুপ্রেমী হন কি না হন, আপনার মন একদম ফুরফুরে হয়ে যাবে অবশ্যই। ‘কুকুরছানার ঘর’ নামে সত্যিই এমন এক উদ্যোগ নিয়েছে বিলেতের ল্যাংকাশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়। বোরড পান্ডা থেকে মিলল এই খবর।

এই ‘কুকুরছানার ঘর’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আজ বৃহস্পতিবার, ৭ মে। উদ্যোগ নিয়েছে ল্যাংকাশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্ট্রেসড আউট স্টুডেন্টস’ (এসওএস) নামের একটি সংগঠনের শিক্ষার্থীরা। ‘গাইড ডগস চ্যারিটি’র সাথে যৌথ উদ্যোগে তাদের এই ‘কুকুরছানার ঘর’ প্রোজেক্ট শুরু হয়েছে।urgentPhoto

‘কুকুরছানার ঘর’-এ থাকবে নানা বয়সের বিভিন্ন প্রজাতির কুকুরছানা। এরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আর ভব্যও বটে! আপনি গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিন বা আদর করুন, দিব্যি গুটিসুটি মেরে আপনার সাথে বসে থাকবে। সুতরাং যারা এই চমৎকার প্রাণীদের সাথে একটু সময় কাটাতে চান, ক্লান্তি কি অবসাদ উড়িয়ে দিতে চান- সোজা গিয়ে ‘কুকুরছানার ঘর’-এ একটু সময় কাটিয়ে আসুন। এ জন্য খরচ পড়বে মোটে এক ইউরো। এ অর্থ কুকুরছানাদের যত্ন আর রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ব্যয় হবে।

অবশ্য, এই উদ্যোগে আখেরে কুকুরছানাদেরও কিছু উপকার হবে বলে সংগঠনটির এক সদস্যের বিশ্বাস। ‘এই সুযোগে ওরা (কুকুরছানা) অনেক ধরনের মানুষের সাথে পরিচিত হবে, তাদের দেখবে আর সেই সাথে নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়ে তুলবে। এতে করে ওরা পরবর্তী সময়ে দক্ষ গাইড কুকুর হয়ে উঠতে পারবে’-প্রোজেক্ট নিয়ে আশাবাদ তার।

‘কুকুরছানার ঘর’-এর ধারণা একটি জাপানি গবেষণা থেকে অনুপ্রাণিত। এ গবেষণায় দেখা গেছে, কুকুর বা বিড়ালছানার সাথে সময় কাটানো মানুষদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়।