‘দুমুখো’ বিড়াল!

Looks like you've blocked notifications!
‘দুমুখো’ বিড়াল

ভেনাসকে দেখলে অনেকেরই সুকুমার রায়ের "হ য ব র ল"র কথা মনে পড়ে যাবে হয় তো- ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল একটা বেড়াল’। ভেনাস আসলে অন্যদের মতোই এক কিউট বিড়াল ছিল কিন্তু প্রকৃতির খেয়ালে সে হয়ে উঠেছে মানুষের কাছে বিস্ময়কর। কারণ তার মুখ একটি নয়, দুটি! 

চমকে গেলেন নাকি! প্রিন্টিং মিসটেক নয়, আপনার দেখতেও ভুল হচ্ছে না; যা পড়ছেন ঠিকই পড়ছেন- ভেনাস নাম বিড়ালের, আর তার মুখাবয়ব দুই ভাগে বিভক্ত। আর বিচিত্র মুখাবয়ব দিয়ে তামাম দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই ‘দুমুখো বিড়াল’। ভেনাসকে দেখার পর আক্কেল গুড়ুম হয়নি, এমন কেউ মেলা ভার! ‘ফার্স্ট টু নো-এর বদৌলতে জানা গেছে এই ‘বিস্ময় বিড়াল’-এর গল্প।  

বংশগতির বিরল বৈশিষ্ট্যই বিস্ময় বিড়াল ভেনাসের এহেন রূপের রহস্য। কাইমারিজম- নামের এই বিরল বৈশিষ্ট্যের কারণে একটি প্রাণী জেনেটিক্যালি বিপরীতমুখী ভিন্ন বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। এতে একই দেহে দুটি ভিন্ন গ্রুপের রক্তের পাশাপাশি অবস্থান কিংবা একই সাথে পুরুষ ও নারী বৈশিষ্ট্যের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থাকাও অস্বাভাবিক নয়।  

ভেনাসের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি অবশ্য ঠিক তেমন নয়। কাইমারিজমের  কারণে তার মুখাবয়ব দুই ভাগে বিভক্ত, এমনকি চোখও! তার মুখের ডান পাশটি কালো এবং সেখানে চোখের মণি সবুজ, অন্যদিকে বামপাশ হলো সোনালি- চোখের মণি নীল! শুধু তাই নয়, এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রভাবে তার নড়াচড়ার রকমফের, চাহনি কী বসবার ভঙ্গি; এগুলোও আর দশটা বিড়ালের থেকে একেবারেই আলাদা। যেকোনো অবস্থাতেই ভেনাসকে লক্ষ্য করলে আর দশটা বিড়ালের থেকে ফারাকটা টের পাবেন আপনি। আর বিস্ময়ে ঠাহর করতে পারবেন না ‘আমি ডান দিকে রই না আমি বাম দিকে রই’! ভেনাসের ছবিগুলো দেখলে একবার ডানদিকে, আরেকবার বামদিকে- আপনার চোখজোড়া দৌঁড়াতে পারে গানের মতোই।

ভেনাসের মালিক এই বিস্ময় বিড়াল নিয়ে নেহাত কম আপ্লুত নন। কেবল স্পেশাল যত্নআত্তি নয়, ভেনাসের জন্য আলাদা ফেসবুক পেজও খুলেছেন তিনি!