আইনি জিজ্ঞাসা

তালাক দিয়ে নোটিশ না পাঠালে কারাদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!

মুখে তিন তালাক বললেই তালাক কার্যকর হয়ে যায় বলে ধারণা অনেকের। কিন্তু আইন অনুযায়ী মুখে ‘তিন তালাক’ বললেই তালাক কার্যকর হয় না। কেননা ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী কাজীর মাধ্যমে তালাক দিতে হবে। এ ছাড়া তালাক দেওয়ার পর সেই সংক্রান্ত নোটিশ স্বামীর মাধ্যমে স্ত্রীকে অথবা স্ত্রীর মাধ্যমে স্বামীকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি করপোরেশনকে পাঠাতে হবে।

১৯৭৪ সালের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি মুখে তালাক দিয়ে নোটিশ না পাঠালে উপধারা ১-এর বিধান লঙ্ঘন হবে। এ কারণে কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

অন্যদিকে নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান/মেয়র সালিশি পরিষদ গঠন করবেন ও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতা করার চেষ্টা করবেন।

সালিশি পরিষদ ৯০ দিন সময় পাবে। এর মধ্যে প্রতি ৩০ দিনে একটি করে মোট তিনটি নোটিশ দেবে। এর মধ্যে স্বামী নোটিশ প্রত্যাহার না করলে তালাক কার্যকর হবে। কিন্তু নোটিশ প্রত্যাহার করলে তালাক কার্যকর হবে না।

তালাকের পর স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে গেলে সেটি কার্যকর হবে না। তবে সন্তান প্রসব হওয়ার পর পর্যন্ত নোটিশ বহাল রাখলে ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে। কিন্তু এর মধ্যে স্বামী নোটিশ প্রত্যাহার করলে তালাক কার্যকর হবে না।

আইন অনুযায়ী, স্বামী একতরফাভাবে ইচ্ছেমতো তালাক দিতে পারেন। তাঁকে তালাকের কারণ দেখাতে হয় না।  স্বামী কেন  তালাক দিলেন, তা স্ত্রী জানতে চাইতে পারবেন না। এটি স্বামীর একতরফা ক্ষমতা।

লেখক : আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট