অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লড়ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জমে উঠেছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর এই নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে অন্তত এক ডজন প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নিচ্ছেন এবং এরই মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।
সিডনি শহরের বিভিন্ন উপশহরে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা এরই মধ্যে নির্বাচনি প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নিজেদের অবস্থান শক্তশালী করতে।
কে হবেন আগামী দিনে সিটি কাউন্সিলের মেয়র ও কাউন্সিলর? এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে চারদিকে। অবশ্য এবারের নির্বাচনি দৌড়ে পিছিয়ে নেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মূলধারার রাজনীতিতে অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসীর অংশগ্রহণ অস্ট্রেলিয়ানসহ ভিনদেশি কমিউনিটিকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সামিল হয়েছেন নির্বাচনি লড়াইয়ে। এবারের সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চার প্রবাসী নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ক্যান্টারবারি-ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলের রোজল্যান্ড থেকে কাউন্সিলর পদে লিবারেল পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন সাজেদা আক্তার সানজিদা। তিনি সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক ফেডারেল সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মাদ জামান টিটোর সহধর্মিনী।
অপরদিকে ব্যাসহিল এলাকা থেকে কাউন্সিলর হিসেবে লিবারেল পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফাহমিনা আক্তার হক সারা।
কাম্বারল্যান্ড সিটি কাউন্সিল থেকে কাউন্সিলর পদে অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবরিন ফারুকী। আর পলি ফরহাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ক্যান্টারবারি-ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলের রোজল্যান্ড থেকে।
এ ছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যেসব কাউন্সিলর প্রার্থী আলোচনায় আছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- আবুল সরকার, বর্তমান কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, লুৎফুল কবির, শিবলী চৌধুরী, নোমান মাসুম, সুমন সাহা, আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
বাঙালিপাড়া হিসেবে খ্যাত লাকেম্বা, ব্যাংকসটাউন, ক্যাম্বেলটাউনসহ ক্যাম্বারল্যান্ড এবং কানাডা-বে সিটিতে শুরু হয়েছে নির্বাচনি প্রচার। প্রতিদিন গ্রোসারি ও ক্যাফেতে গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিবারেল পার্টির মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী সাজেদা আক্তার সানজিদা ভাল অবস্থানে রয়েছেন। তাঁর নির্বাচনি প্রচারে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য, নেতারা অংশ নিচ্ছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার মূলধারার রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে পারেন।
নির্বাচনে হার-জিত থাকবেই। তবে এই স্থানীয় সরকার নির্বাচন অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে বাংলাদেশকে নতুনভাবে তুলে ধরবে বলেই মনে করছেন প্রবাসীরা। তাঁরা মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে প্রবাসী তরুণ প্রজন্ম অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্কের ভিন্নমাত্রার সূচনা করবে।