কাতারে যুবরাজ ও হামাস নেতার উপস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি সমাবেশ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/05/16/capture_1.jpg)
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৪১ জন শিশুসহ ১৪৮ জনের বেশি মুসলমানের প্রাণহানি ঘটেছে। ইসরায়েলি এ হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে কাতারে বসবাসরত অভিবাসী ও নানা শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কাতারে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনি প্রতিবাদী জনগণের চলমান সংগ্রামে সংহতি জানানো হয়।
কাতারের জাতীয় মসজিদের (ইমাম মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাব মসজিদ) সামনে বিপুল সংখ্যক মানুষ এ সমাবেশে অংশ নেয়।
উপস্থিত বিক্ষোভকারীরা কাতার, ফিলিস্তিন ও নিজ নিজ দেশের পতাকা হাতে নিয়ে মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে ফিলিস্তিনের সংগ্রামে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে তাদের আগ্রাসন রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, এটি কাতারে সাম্প্রতিক অতীতে অনুষ্ঠিত যেকোনো ধরনের সমাবেশের মধ্যে বৃহত্তম ছিল।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দোহায় সফররত হামাসের পলিটিকাল ব্যুরোপ্রধান ইসমাইল হানিয়া। ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার জন্য সবাইকে ধনবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। তিনি ফিলিস্তিনের জনগণকে মনোবল শক্ত রাখার ও হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানান। চূড়ান্তভাবে পবিত্রভূমি মুক্ত এবং সম্পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনের জনগণের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন এই হামাস নেতা।
সমাবেশে বক্তারা ফিলিস্তিনের জনগনের প্রতি তাদের সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের এমন আয়োজনের জন্য উপস্থিত জনগণ ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
এ ছাড়া সমাবেশে অংশ নেন কাতারের যুবরাজ শেখ মিশাল বিন হামাদ। তিনি এ সমাবেশকে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পাশে দাড়ানোর শান্তিপূর্ণ উপায় বলে অভিহিত করেন।
যুবরাজ শেখ মিশাল বিন হামাদ বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে সমাবেশে বিপুল জনতার সমর্থন কাতারে ফিলিস্তিন প্রবাসী ও সংগ্রামীদের মনোবলকে অনেক বাড়িয়ে দেবে।’