জরিমানা দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে নিজ দেশে ফিরতে পারবেন অবৈধ অভিবাসীরা

Looks like you've blocked notifications!
জরিমানা দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে ফিরতে পারবেন অবৈধ অভিবাসীরা। ছবি : সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় লকডাউনে কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেও বেড়ে চলেছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। সংক্রমণ থামাতে পারছে না মালয়েশিয়া সরকার। কঠোর লকডাউনেও মালয়েশিয়ায় চলছে ধরপাকড়। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন প্রবাসীরা। প্রবাসীরা গণহারে কাজ-কর্ম হারিয়ে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেশটির অভিবাসন বিভাগ অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে।

এদিকে, যাঁরা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে মালয়েশিয়ায় এখনও অবস্থান করছেন, তাঁদের ৫০০ রিঙ্গিত (বাংলাদেশা মুদ্রায় ১০ হাজার টাকা) জরিমানা দিয়ে নিজ নিজ দেশে ফেরত যেতে বিমানবন্দরে রিক্যালিব্রেশন পুলাং নামের এক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দেশটির সরকার। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল যাইমি দাউদ।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক আরও জানিয়েছেন, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (কেএলআইএ) ৮ জুলাই থেকে এ প্রক্রিয়ার জন্য অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কাউন্টার খোলা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীরা খুব সহজে এখন দেশে ফিরতে পারবে। আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ারও প্রয়োজন নেই। তবে ফ্লাইট ছাড়ার কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা আগে আসতে হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা অভিবাসন বিভাগের এ কাউন্টার খোলা থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়। তবে এ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হলে পাসপোর্ট বা হাইকমিশন থেকে বৈধ ট্রাভেল ডকুমেন্টস, ফ্লাইট টিকিট, ৫০০ রিঙ্গিত জরিমান অনলাইনে পে করে এবং ৭২ ঘণ্টা মেয়াদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে থাকতে হবে।

মালয়েশিয়ায় লকডাউনে সাঁড়াশি অভিযানে ধরা পড়ছে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বৈধ ও অবৈধ অভিবাসী। কিছু ক্ষেত্রে বৈধদের আটক করা হচ্ছে ওয়ার্ক পারমিটের শর্ত লঙ্ঘন করার কারণে। তাই, যাঁরা এখন পর্যন্ত বৈধ হতে পারেননি, তাঁদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক আরও জানান, এ কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ ৪৮ হাজার ৮৩ জন অবৈধ অভিবাসী ‘রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম’-এ নাম নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে ৯৮ হাজার ১৯৪ জন ‘রেক্যালিব্রেশন রিটার্ন’ এবং এক লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৯ জন ‘রেক্যালিব্রেশন লেবার’ প্রোগ্রামে নিবন্ধিত হয়েছেন, যেখানে প্রায় ছয় হাজার ৮২২ জন নিয়োগকর্তার মাধ্যমে লেবার রিক্যালিব্রেশনে অংশ নিয়েছেন।