ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের নিজস্ব ভবনের উদ্বোধন

Looks like you've blocked notifications!
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের নিজস্ব ভবনের উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। ছবি : বিজ্ঞপ্তি

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের নিজস্ব ভবনের উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। গতকাল রোববার বিকেলে ভবনটি উদ্বোধন করা হয়। একই সময় সেখানে ওপেন হাউজ ডে’র আয়োজন করেন অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আবু জাফর।

ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, নতুন ভবন উদ্বোধনের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দূতাবাসের ভেতরে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হলেরও উদ্বোধন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বিকেল সাড়ে ৪টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন। দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. তারাজুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং ক্রয় করা নতুন দূতাবাসের ইতিহাস ও বিভিন্ন অংশের বর্ণনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার সামনে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আবু জাফর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। রাষ্ট্রদূত বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও উন্নয়নের ফলেই আজকে আমাদের এই নিজস্ব ভবন ক্রয় করা ও উদ্বোধন করা সম্ভব হয়েছে। আজ থেকে আমাদের ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে আরো একটি অংশ যুক্ত হলো আমাদের এই দূতাবাসটি।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তিনি বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেত্বত্বের গুণেই বিশ্বে চল্লিশতম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছি।’ তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রীকে সার্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সব শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।