মালয়েশিয়ায় ইন্ডাস্ট্রি অ্যাওয়ার্ড জিতলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বশির ইবনে জাফর

Looks like you've blocked notifications!
বশির ইবনে জাফর। ছবি : এনটিভি

মালয়েশিয়ার মাহসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অন্যতম সেরা সম্মাননা ‘ইন্ডাস্ট্রি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাফেজ বশির ইবনে জাফর। ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অনুষদের সেরা শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতি বছর তাদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি থেকে সেরা শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত করে এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনে ভালো ফলাফল, এক্সট্রাকারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে ভালো পারফর্মেন্স, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সফল নেতৃত্বদান এবং আগামীর সম্ভাবনাময় তারুণ্য বিবেচনা করা হয়।

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির বলরুম হলে আয়োজিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর এবং চেয়ারম্যান ইয়ং বারহরমাত সিনেটর প্রফেসর তানশ্রি ড. মুহাম্মদ হানিফা বিন আবদুল্লাহ। 

অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. দাতো ইসহাক বিন আবদুল রাজাক, ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. দাতো ইকরাম শাহ বিন ইসমাইল, প্রফেসর ডক্টর দাতো শাহরিল বিন হানিফা, জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রদূত সুবার্তো যাকাতা, সিমেট্রি ইঞ্জিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর মি. চং প্রমুখ।

এর আগে মাসা ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউন্সিল নির্বাচনে ২০২০ ও ২০২১ সালে পরপর দুবার ভিপি নির্বাচিত হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন বাংলাদেশি এই শিক্ষার্থী। ২০২০ সালে আমন্ত্রণ পান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মদের একটি লিডারশিপ কনফারেন্সে। একাডেমিক জীবনে তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এক বছর। মাহসা ইসলামিক ক্লাবের যাকাওয়া ব্যুরো প্রধান হিসেবেও কাজ করেছেন এক সেশনে। বিভিন্ন সেমিনার ও করোনা মহামারীর সময়ের সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি সেখানকার শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের মন জয় করেন। ২০২২ সালে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন বিএসওএমের সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়ে প্রবাসী শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণেও কাজ করছেন তিনি।

হাফেজ বশির ইবনে জাফর বলেন, ‘আজ আমি উৎফুল্ল। মালয়েশিয়ায় এসে সংকল্প করেছিলাম, আমাকে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছতে হবে এবং বিশেষ করে গ্রাজুয়েশন শেষে আমি যেন এই অ্যাওয়ার্ডটি লাভ করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ্‌ আজ আমি সফল। এই সফলতার জন্য আমি আমার বাবা-মা, শিক্ষক ও সহপাঠিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। 

২০১৮ সালে রাজধানীর দনিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে স্কলারশিপে মালয়েশিয়ার পাড়ি জমান এই মেধাবী শিক্ষার্থী।