সিডনিতে এটম্যাক্সের দ্বিতীয় শাখা উদ্বোধন
যাত্রা শুরু করল শতভাগ হালাল মেক্সিকান খাবারের সম্ভার নিয়ে এটম্যাক্সের দ্বিতীয় শাখা। গত ২৩ সেপ্টেম্বর এক আড়ম্বর আয়োজনে এ যাত্রা শুরু হয়।
প্রশান্ত মহাসাগরের তীর অস্ট্রেলিয়ার সিডনির মিন্টুতে এবারের নোঙর এটম্যাক্সের। এই মিন্টুতেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশ বড় একটি অংশের বসবাস, পাশাপাশি মুসলিম কমিউনিটিরও বেশ বড় অবস্থান রয়েছে এ মিন্টু ও আশপাশের এলাকাগুলোতে। এ বিবেচনায় এটমাক্সের এখানে এবারকার নোঙর। হালাল খাবারের সুবিধা এখনও অপ্রতুল, নিজে কিংবা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘর হতে বাইরে কোথাও গেলেই হালাল খাবার পাওয়া বেশ দুরুহ হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় এটম্যাক্স হয়ে উঠবে নির্ভরতার প্রতীক ও বিশ্বস্ততার স্থান, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন এটম্যাক্সের উদ্যোক্তারা।
জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনের প্রস্তুতির খবর জানাতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সাংবাদিক ও কমিউনিটির নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের সাথে মতবিনিময়কল্পে আয়োজন করা হয় মিডিয়া ও কমিউনিটি মিটআপ-এর। মিন্টুস্থ বিডি কমিউনিটি হাব-এর হলরুমে আয়োজিত এ মিট আপে উদ্যোক্তাদের পক্ষে আয়োজনের বিস্তারিত তুলে বক্তব্য প্রদান করেন এটম্যাক্স-এর পরিচালক শফিক শেখ, জাহাঙ্গীর হাবিব, এনামুল হক খাঁন ও রাজীব পাল প্রমুখ।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এনামুল হক খান জানান, মিনটু শপিং মল অত্র এলাকার বৃহৎ ও বেশ জনপ্রিয় শপিং মল। সম্প্রতি এ মার্কেটের কলেবরে সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। মার্কেটের প্রবেশমুখের বর্ধিতাংশে এটম্যাক্স-এর নোঙর। ফ্রেশ ও স্বাস্থ্যকর অথেনটিক হালাল মেক্সিকান খাবারের সম্ভার নিয়ে এটম্যাক্সে থাকছে কম ঝাল হতে কড়া ঝালের জনপ্রিয় খাবার বোরিটো, বোরিটো বল, এনচিলাদা, নাচোস, টাকোস প্রভৃতি। গ্রাহকেরা তাদের পছন্দমতো ফিলিং হিসেবে গ্রিল চিকেন, বিফ, ফিশ কিংবা ভেজিটেবল বেছে নিতে পারবেন।
গত বছর এডমনডসন পার্ক-এর ইডি স্কয়ারে এটম্যাক্স যাত্রা শুরু করে। ইতোমধ্যে উন্নত গ্রাহকসেবা, মানসম্মত খাবার ও গ্রাহকদের শতভাগ সন্তুষ্টি নিয়ে এটম্যাক্স গড়ে তুলেছে ফ্রেশ হালাল মেক্সিকান খাবারের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
এটম্যাক্স-এর পরিচালক সফিক শেখ আরও জানান, মিন্টু আউটলেটের পরপরই আগামী মাসে চালু হতে যাচ্ছে রোজমেডো মার্কেটপ্লেসে এটম্যাক্স-এর তৃতীয় শাখা এবং নভেম্বরে ওয়েদারহিলপার্ক স্টকল্যান্ড মার্কেটে চতুর্থ শাখা। এ ছাড়া আগামী বছর আরও পাঁচটি আউটলেটের সম্প্রসারণকল্পে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের গড়া এটম্যাক্স অস্ট্রেলিয়ার হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রিজ স্বকীয়, দৃঢ় অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।