সৌদি আরবে আনন্দঘন পরিবেশে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

Looks like you've blocked notifications!
শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী স্কুলের শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কাটেন। ছবি : এনটিভি

সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী এবং শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু চত্বরে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া সৌদি আরবের রিয়াদ ও দাম্মামের তিনটি বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ছিল এক প্রাণবন্ত, উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় শিশু; যে জাতির পিতার সান্নিধ্যে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠছিল। ঘাতক চক্র এই অমিত সম্ভাবনার শিশু শেখ রাসেলকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করে যা ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, শেখ রাসেল সেসময় মাত্র চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। অথচ নিষ্পাপ নিরপরাধ শিশুকে হত্যা করতে ঘাতকচক্রের বুক এতটুকু কাঁপেনি। ঘাতকচক্র শেখ রাসেলকে হত্যার মাধ্যমে জাতির পিতার উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ শিশু-কিশোরসহ বাংলাদেশের সব মানুষের কাছে গভীর ভালোবাসার নাম।

রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবে বেড়ে ওঠা সব শিশু-কিশোরকে জাতির পিতার জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে জীবন গঠনের পরামর্শ দেন। শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে শিশু-কিশোরদের সুন্দর ও মানবিকবোধ সম্পন্ন আদর্শ মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার আহ্বান জানান তিনি।

দিবসটি উপলক্ষে সৌদি আরবের কমিউনিটি স্কুলের ছয়জন ছাত্র-ছাত্রী শেখ রাসেলের জীবনীর ওপর বক্তব্য দেয়। শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল ও জাতির পিতার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের হত্যাকারী পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে বিচারের রায় কার্যকর করার অনুরোধ জানায়।

শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী স্কুলের শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কাটেন। তিনি ও তাঁর সহধর্মিণী হাবিবা হোসাইন  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার চিত্রকর্ম নিয়ে দূতাবাস প্রান্তরে একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন।

এ ছাড়া রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, রচনা, আবৃত্তি ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের মেডেল ও সনদপত্র প্রদান করেন। শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু চত্বরে শিশু-কিশোরদের নিয়ে একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে  বিশেষ দোয়া করা হয়।