মালয়েশিয়ার মালাক্কায় এমআরপি বিতরণ শেষ

Looks like you've blocked notifications!

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের হাতে দ্রুত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) পৌঁছে দিতে দেশটির মালাক্কা প্রদেশে শেষ হয়েছে আঙুলের ছাপ নেওয়া এবং পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম।

স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে দুদিনব্যাপী ওই কর্মসূচি শেষ হয়। এর আগে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো শহিদুল ইসলাম শনিবার সকালে ‘মোবাইল ক্যাম্পিং’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাসীদের সেবা প্রদানে দূতাবাসের এ মোবাইল টিম নিরন্তর কাজ করছে। মালয়েশিয়ার প্রত্যেকটি প্রদেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকদের হাতে ডিজিটাল পাসপোর্ট পৌঁছে দিতেই এই প্রচেষ্টা।’

উদ্বোধনের সময়ে মালাক্কায় কর্মরত শ্রমিক ও কমিউনিটি নেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ কূটনৈতিক তৎপরতায় দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়েছে।’

শহিদুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপের পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ইস্যুর ঘোষণা দিয়েছে।’

ফলে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রায় সাড়ে তিন লাখ বাংলাদেশি কর্মী কাজের সুযোগ পাবেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

অবৈধ শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যোগ বারবার আসে না। এ সুযোগ হাতছাড়া না করে দ্রুত বৈধ হতে আহ্বান জানাচ্ছি।’

মোবাইল ক্যাম্পে বাংলাদেশিদের আবেদন জমা দেওয়া এবং ডিজিটাল পাসপোর্ট বিতরণের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম, ফার্স্ট সেক্রেটারি এস কে শাহীন, পাসপোর্ট-ভিসা শাখার ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. মশিউর রহমান।

মশিউর রহমান জানান, ঘোষিত ওয়ানস্টপ সার্ভিসের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রদেশে মোবাইল টিমের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ ও নতুন আবেদন নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আগত প্রবাসীদের একদিনের মধ্যেই জন্মনিবন্ধন জমা নেওয়া, আঙুলের ছাপ গ্রহণ ও ছবি তোলার কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ যেন এমআরপির আওতার বাইরে না থাকেন সে জন্যই এ ক্যাম্পিং।’

দূতাবাসের শ্রম শাখার কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রবাসীদের সব ধরনের সেবা দিতে পেনাং, জহোর, ক্যামেরন হাইল্যান্ডে ‘মোবাইল ক্যাম্পিং’-এর মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়েছে।