ওয়াশিংটন দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালিত

Looks like you've blocked notifications!

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবাষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। 

শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট সকালে বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সেরি ও বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এর পর রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী এবং কাউন্সেলর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া করা হয়।

১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সভার শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। 

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পিছনে এসব কুচক্রী মহলের গভীর ষড়যন্ত্র ছিল এবং ভবিষ্যতে সবাইকে একসঙ্গে এ ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানের শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করে এবং আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা লাভ করি। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ছিল বাঙালি জাতির জন্য ম্যাগনাকার্টার সমতুল্য। বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গঠনে দেশ বিদেশে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি ও বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। 

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে ঘাতকরা মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মূল্যবোধ এবং রূপকল্পকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, কিন্ত তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। 

এইচ টি ইমাম আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যবিত্ত আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হবে। 

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু’ প্রদর্শন করা হয়। সব শেষে রাষ্ট্রদূত চ্যান্সেরি ভবনে বঙ্গবন্ধুর ও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীতে ২৪টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে।