মালয়েশিয়ায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

Looks like you've blocked notifications!
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর সেন্ট্রাল কারি হাউস হলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ। ছবিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা। ছবি : এনটিভি

মালয়েশিয়ায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কুয়ালালামপুর সেন্ট্রাল কারি হাউস হলে এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল এবং পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন সরদার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সোহরাওয়ার্দী হোসেন সরোয়ার। প্রধান বক্তা ছিলেন কুয়ালালামপুর ইউনিভার্সিটির জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক এ টি এম ইমদাদুল হক।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন পান্না ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামাল।

সভায় বক্তারা বলেন, একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্বাসন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। জাতির পিতা স্বাধীনতার ১১ মাসের মাথায় বাংলাদেশকে দিয়েছিলেন একটি নিজস্ব সংবিধান। তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) হত্যার পর দেশবাসী হারিয়েছিলেন একজন স্বজন।

বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত যাদের এখনো ফাঁসি কার্যকর হয়নি, তাদের দেশে ফেরত এনে অবিলম্বে রায় কার্যকর এ সরকারকেই করতে হবে। তা না হলে এ নিয়ে আরেকটি ইনডেমনিটি হতে পারে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা ওদের ফাঁসি বাস্তবায়ন চাই।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, শাখাওয়াত হক জোসেফ, প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিরাজ, আওয়ামী লীগ নেতা মুরাদ মোর্শেদ, মালয়েশিয়া যুবলীগের আহ্বায়ক মো. তাজকীর আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বি এম বাবুল হাসান, মালয়েশিয়া শ্রমিক লীগের সহসভাপতি শাহ আলম হাওলাদার, তাঁতী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান শওকত, কৃষক লীগের সভাপতি ইব্রাহীম কে রাজা, কুয়ালালামপুর শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম প্রমুখ।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল করিম, কাইয়ূম সরকার, দাতু আক্তার হোসেন, মামুনুর রশিদসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ চার সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

সবশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।