ভ্যাট চালু হলো সৌদি আরবে
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবারই প্রথম চালু হয়েছে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রথা। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে দেশ দুটিতে অধিকাংশ পণ্যে ও সেবায় ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হচ্ছে।
খাদ্যপণ্য, পোশাক, পেট্রল, ডিজেল, হোটেল ভাড়ার ক্ষেত্রে এই ভ্যাট দিতে হবে। তবে ভ্যাটের আওতার বাইরে থাকছে চিকিৎসাসেবা, অর্থসেবা ও পরিবহন সেবা। এ ছাড়া আয়কর দিতে হবে না।
সৌদি আরবে যে পণ্য কিনতে ১০০ রিয়াল লাগত, ভ্যাট বসানোর পর সেই পণ্য কিনতে অতিরিক্ত পাঁচ রিয়াল দিতে হবে।
বিবিসি জানিয়েছে, তেলের দাম কমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে সৌদি আরব। এ জন্য বিভিন্ন পণ্যে ভ্যাট বসিয়েছে দেশটির সরকার। আর সেজন্যই নাগরিকদের এখন থেকে গুনতে হবে বাড়তি অর্থ। এ ছাড়া কর না থাকায় বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছিল আকর্ষণীয় গন্তব্য। তবে সেই অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।
সৌদি সরকার বলছে, ভ্যাট থেকে প্রথম বছরে ৯৪০ কোটি ডলার আয় হবে। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩৩০ কোটি ডলার আয় করবে বলে জানা গেছে।
উপসাগরীয় দেশগুলোকে তেলের আয়ের ওপর নির্ভর না করে এই আয়ের খাত বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়ে আসছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। সৌদি আরব বাজেটের শতকরা ৯০ ভাগ আয় আসে তেল খাত থেকে। অপর দিকে, আমিরাতের এই আয় ৮০ ভাগ। দেশ দুটি আর্থিক সমৃদ্ধির জন্য নিত্য নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
সৌদি আরবের ভ্যাট প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হামুদ আল হার্বি বলেন, উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এই ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সৌদিতে এরই মধ্যে তামাকের ওপর শতভাগ ভ্যাট বসানো হয়েছে। তবে ৫০ ভাগ ভ্যাট ধরা হয়েছে কোমল পানীয়ের ওপর।
২০১৯ সালের মধ্যেই বাহরাইন, কুয়েত, ওমান ও কাতারও জানিয়েছে তারাও ভ্যাট আরোপ করবে দেশগুলোতে।