কোরিয়ায় বরিশাল কমিউনিটির দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

Looks like you've blocked notifications!

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বরিশাল কমিউনিটির দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও উদ্যোক্তা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার বরিশাল কমিউনিটি ইন কোরিয়ার উদ্যোগে দিনব্যাপী এ আয়োজনে বরিশালের প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. মাসুদ রানা চৌধুরী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল কমিউনিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বিসিকের সাবেক সভাপতি হাবিল উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, দেশ-বিদেশে বরিশাল বিভাগের আলাদা পরিচয়, সুনাম ও ঐতিহ্য রয়েছে। এ সুনাম ও ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে প্রবাসের মাটিতেও বরিশালবাসীকে সগৌরবে উজ্জীবিত থাকতে হবে। তবেই আমাদের নির্ধারিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত হবে। প্রবাসের শত ব্যস্ততার মাঝে এই উৎসব সবার জীবনে নিয়ে আসে নতুন করে পথচলার উদ্দীপনা। নতুন করে ভালোবাসতে শেখায় দেশ ও দেশীয় সংস্কৃতিকে, এমনটাই বলছিলেন অংশগ্রহণকারীদের অনেকে।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মোহাম্মদ কামরুল হাসান শাহীন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি ও বরিশাল কমিউনিটির উপদেষ্টা সৈয়দ মোহাম্মদ কায় খসরু।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক, বরিশাল কমিউনিটির উপদেষ্টা ছাইদুর রহমান মিঠু। বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি এম জামান সজল, চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ম্যাক্সিন চৌধুরী। গোপালগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডেবিট একরাম। আওয়ামী লীগের নেতা মনোজ প্রভাকর ও দক্ষিণ কোরিয়া যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন মানিক। নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফুর রহমান, বি কে এ ভাইস প্রেসিডেন্ট নোমান আহম্মেদ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সভায় রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন উদ্যোক্তা তৈরি হতে যে কোনো সহযোগিতা পাশে থাকবে বাংলাদেশ দূতাবাস। পাশাপাশি তিনি কোরিয়ায় অবস্থানরত সকল কমিউনিটিকে এক হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করার আহ্বান জানান।

কমার্শিয়াল কাউন্সিলরমাসুদ রানা চৌধুরী বরিশালের প্রসংশনীয় বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, সময় পাল্টেছে এখনই সময় উদ্যোক্তা হওয়ার। বিসিকের সাবেক সভাপতি হাবিল উদ্দিন তিনি সকলকে এক ও অভিন্ন এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ ও নিজেদের উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এমন একটি মিলনমেলা আয়োজন করায় তিনি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে আশা করেন,এ পুনর্মিলন যেন আমাদের প্রবাসীদের ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি করে। আমরা যেন প্রবাসে থেকেও দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারি,দেশকে আরো ভালোবাসতে পারি। তিনি আরো বলেন, আমি কথা দিয়ে গেলাম আগামীতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য যা কিছু করা দরকার আমি তা করব।

আয়োজক কমিটির মধ্যে ছিল কামরুল হাসান সাহিন, ফেরদৌস টিটু, মঞ্জুর বিপ্লব, জি এম রুবেল, রফিকুল ইসলাম রনি, নজরুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, তারিফুল ইসলাম, রাকিব মৃধা, মিরাজ করিম, আমিনুল ইসলাম ও নাঈম সাইফুর।