অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাস
সারা দুনিয়ায় যখন চলছে অস্থিরতা, তখন পৃথিবীর শান্তিপূর্ণ দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। সমৃদ্ধ অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসম্মত আবহাওয়া, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নিরাপত্তা—সব মিলিয়ে বসবাসের জন্য চমৎকার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। তাই দেশ দুটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান অনেকে।
সঠিক নিয়ম মেনে বিশ্বের যেকোনো জাতি-ধর্মের মানুষ এসব দেশে পেতে পারেন স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ। কিন্তু অনেকেই এ বিষয়ে সঠিক তথ্য না পেয়ে পা বাড়াচ্ছেন ভুল পথে।
এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় বসবাস করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সাহায্য করছেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাংলাদেশি নাগরিকদের মাইগ্রেশন সেবা দিয়ে আসছেন। মানুষের কাছে ড. রাজু আহমেদ নামেই বেশি পরিচিত তিনি।
এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. রাজু জানান, বিজনেস ও ইনভেস্টমেন্ট মাইগ্রেশন করে অল্প দিনে সহজেই অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়া সম্ভব। বিষয়টি খুব জটিলও নয়, প্রয়োজন নেই উচ্চশিক্ষার সনদেরও। তবে উচ্চশিক্ষার সনদ থাকলে মিলবে বাড়তি সুযোগ। এ ছাড়া বিজনেস রেসিডেন্স ভিসায় মাত্র পাঁচ বছরে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন মালয়েশিয়ায়ও।
এ বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ জায়গার একটি। এখানে ইউরোপ বা আমেরিকার মতো আবহাওয়া সমস্যা নেই। আর সব জাতির অধিবাসীদের এখানে সমান সম্মান জানানো হয়।’
ড. রাজু বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে সপরিবারে বিজনেস ও প্রফেশনাল স্কিলড মাইগ্রেশনের সুযোগ। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিগ্রি পাস। আর উচ্চতর ডিগ্রিধারীরা বাড়তি সুবিধা তো পাবেনই।’
এ ছাড়া আইইএলটিএস-এ ৬ থেকে ৬ দশমিক ৫ স্কোর ওঠাতে হবে অস্ট্রেলিয়া অথবা নিউজিল্যান্ড যেতে। তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আইইএলটিএসের বিষয়টি শিথিল রয়েছে। ২৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের যে কেউ আবেদন জানাতে পারেন। নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৬৫ বছর বলে জানান বাংলাদেশের এ আইনজীবী। তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় চারশর বেশি পেশায় দেওয়া হচ্ছে স্কিলড মাইগ্রেশন। এতে খুব শিগগির স্থায়ী রেসিডেন্স ভিসা পাওয়া সম্ভব পুরো পরিবারের।
ড. রাজু আরো জানান, অস্ট্রেলিয়ায় বিজনেস মাইগ্রেশনের জন্য প্রয়োজন হবে ন্যূনতম আট লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। আর ইনভেস্টমেন্ট মাইগ্রেশনের জন্য অস্ট্রেলিয়ান ডলারে ২ দশমিক ২৫ মিলিয়ন এবং নিউজিল্যান্ডে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার নিজ কোম্পানি অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট রাখতে হবে আগ্রহীকে।
বিজনেস রেসিডেন্স ভিসায় পাঁচ বছরে মালয়েশিয়ার নাগরিক মালয়েশীয় এসডিএন ও বিএইচডি কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা নিলেও নাগরিকত্ব পাওয়া বেশ কঠিন; বরং আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা করলে পাঁচ বছর পরে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব (পিআর) পাওয়া যাবে সহজেই।
এ ক্ষেত্রে বড় সুবিধা হলো, কোনো মালয় নাগরিকের সুপারিশেরও প্রয়োজন হয় না। এমনকি অন্য কোনো সংস্থা থেকেও কোনো প্রত্যয়নপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) প্রয়োজন হয় না। ব্যবসায়ী ভিসা নিলে মালয়েশিয়া থেকে পৃথিবীর ৭৩টি দেশে মাত্র ৩ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে রি-এক্সপোর্ট বিজনেস করা সম্ভব।
ড. রাজু জানান, আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা পেতে পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত ও বিজনেস প্রোফাইল তৈরি করে নিতে হবে। পাসপোর্টের ফটোকপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ব্যাংকের বিবৃতি, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের চারটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আর স্থানীয় কমিশনার বা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে চারিত্রিক সনদের প্রয়োজন হবে।
এ বিষয়ে ড. রাজু আহমেদ বলেন, ‘সব কাগজ ঠিক থাকলে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।’
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বিজনেস ও ইনভেস্টমেন্ট মাইগ্রেশন হিসেবে বসবাসের করণীয় জানতে www.wwbmc.com
এ ওয়েবসাইটে লগইন করুন অথবা advahmed@outlook.com এবং Raju.advocate2014@gmail.com মেইলে প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারেন বিস্তারিত।
এ ছাড়া +60143300639 মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। ফেসবুকে কোম্পানির আইডি WorldwideMigrationConsultantsLtd এবং ব্যক্তিগত আইডি Sheikh Salahuddin Ahmed Raju তেও যোগাযোগ করতে পারেন বিস্তারিত জানতে।