অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি প্রার্থী

Looks like you've blocked notifications!
অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী শাহে জামান টিটু। ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী শাহে জামান টিটু। আগামী ২ জুলাই অনুষ্ঠেয় ফেডারেল নির্বাচনে ওয়াটসন আসন থেকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন। সাবেক ইমিগ্রেশন মিনিস্টার ও লেবার পার্টির বর্তমান এমপি টনি বার্কের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শাহে জামান। 

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন ওয়াটসনের নাম অনুসারে ওয়াটসন নির্বাচনী এলাকার নামকরণ করা হয়। ৪৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নির্বাচনী এলাকায় ১৯৪০ সাল থেকে লেবার পার্টির প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসছেন। বহুজাতিক অভিবাসীদের আবাসস্থল এই নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাই শাহে আলমকে সমর্থন করলে ইতিহাস সৃষ্টি করে বিজয় আনা সম্ভব। 

অনেকের মতে, এই নির্বাচনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ ও ক্ষমতায়নের প্রশ্ন। যুক্তরাজ্য ও কানাডার পর অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচনে শাহে জামান টিটুর প্রার্থিতা দেশটির মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ততার অন্যতম উদাহরণ। একই সঙ্গে এটি বহুজাতিক উন্নত সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় বাংলাদেশিদের নেতৃত্ব গ্রহণের যোগ্যতারও পরিচয় বহন করে। 

শাহে জামান টিটু ল্যাকেম্বা বেলমোর চেম্বার্স অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশি গ্রোসারি শপ বাংলাদেশ প্যালেসের স্বত্বাধিকারী, বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া বিজনেস কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য। এ ছাড়া তিনি ক্যান্টাবুরি সিটি কাউন্সিলের সঙ্গেও কাজ করছেন। 

সদা হাস্যোজ্জ্বল, সদালাপি, বিনয়ী বলে পরিচিত শাহে জামান টিটু নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছেন, বিজয়ী হলে তিনি ওয়াটসন এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, বহুতল বিশিষ্ট পার্কিং নির্মাণ, রাস্তাগুলোতে নতুন কার্পেটিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। এ ছাড়া মানসম্মত বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কমিউনিটি সেন্টার তৈরির অঙ্গীকার করেন তিনি। নির্বাচনে তিনি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সব বাংলাদেশিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

শাহে জামান টিটুর জন্ম ঢাকার মিরপুরে। তিনি ২০০৫ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে অপারেশন ডিরেক্টর হিসেবে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছর থেকেই তিনি সিডনিতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ব্যক্তিজীবনে স্ত্রী সাজেদা টিটু আর দুই ছেলেকে নিয়ে তাঁর ছোট সংসার।