মেলবোর্নে আনন্দধারার পথচলা শুরু

Looks like you've blocked notifications!
মেলবোর্নে আনন্দধারা বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অতিথিরা। ছবি : এনটিভি

প্রবাসী শিশু-কিশোরদের সংগীত ও নৃত্য শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আনন্দধারা নামে একটি বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশিদের কাছে দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করা এবং নাচে ও গানে শিশু-কিশোরদের পারদর্শী করা তোলাই আনন্দধারার মূল লক্ষ্য।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত গান, ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ থেকে এ বিদ্যালয়ের নামকরণ হয়েছে। মেলবোর্নে এ ধরনের বিদ্যালয় এই প্রথম দাবি করা হয়েছে।

১৬ বছরের নিচে যাদের বয়স, মূলত তাদের গান ও নাচের শিক্ষা দেবে আনন্দধারা। এই প্রতিষ্ঠানে যাঁরা শিক্ষক হিসেবে আছেন, তাঁরা সবাই যাঁর যাঁর সংস্কৃতি চর্চায় সুপ্রতিষ্ঠিত।

বিদ্যালয়ে নৃত্যের শিক্ষিকা হিসেবে রয়েছেন সৈয়দা সায়েরা। তিনি ১৯৮৫ সালে শিশু একাডেমিতে যোগদান করেন। সেখানে তালিম নেন লোক ও আধুনিক নৃত্যের। ড. সোমা মমতাজের কাছে তালিম নেন ভারত নাট্যমের। ভারতীয় হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে অধ্যাপক সি. ভি. চন্দ্রশেখরের কাছেও কোর্স করেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রখ্যাত নৃত্যপরিচালক দীপা খন্দকারের কাছে বিশেষ কোর্সের মাধ্যমে লোকনৃত্যের উচ্চতর শিক্ষা নেন সৈয়দা সায়েরা। ছোটবেলা থেকেই তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের ধ্রুপদি, লোক এবং আধুনিক নৃত্যের তালিকাভুক্ত শিল্পী। শৈশব থেকেই অসংখ্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। নেপালে আয়োজিত সার্ক উৎসবেও নৃত্য এবং নৃত্যনাট্য পরিবেশনা করেন তিনি।

এনটিভিকে সৈয়দা সায়েরা বলেন, ‘মেলবোর্নে শিশুদের বাংলাদেশি সংগীত ও নৃত্যের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার এবং দেশীয় ঐতিহ্যময় সংস্কৃতির শিকড়কে চিনিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা থেকেই আনন্দধারার যাত্রা। আমরা জানি, এখানে অনেকেই আছেন, যাঁরা মনেপ্রাণে ধরে রেখেছেন প্রিয় স্বদেশকে। যাঁরা সন্তানের মধ্যেও দেখতে চান প্রিয় বাংলাদেশকে। আনন্দধারার মূল উদ্দেশ্যই হলো শিক্ষার্থীদের সেই সুযোগ করে দেওয়া, যেন তারা তাদের ভালো লাগা এবং ভালোবাসার মাধ্যমগুলোকে সঠিক পন্থায় চর্চার সুযোগ পায়। বিশুদ্ধ সংস্কৃতির শিক্ষা দেওয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্যই।’

এ ছাড়া বিদ্যালয়ে সাদিয়া হামিদ নিঝুম সংগীত শিক্ষা দেবেন। তাঁর শুরুটা ছিল নজরুলসংগীত দিয়ে, ওস্তাদ মিজানুল ইসলাম খানের কাছে। এরপর ওস্তাদ তমাল কান্তি রায়ের কাছে দীর্ঘ ১৫ বছর একটানা করেন সংগীত চর্চা।

আনন্দধারার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন ফারজানা মাহফুজ এবং সেক্রেটারি হিসেবে মোহাম্মদ মুজিব। প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যায় আনন্দধারার কার্যক্রম মেলবোর্নে পরিচালিত হবে।