যুক্তরাষ্ট্রে ‘আগামী’র নতুন সভাপতি হলেন পারভেজ

Looks like you've blocked notifications!
মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ

বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক সংস্থা ‘আগামী’। এই সংস্থার ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবাসী মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রে তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে ‘আগামী’ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই তহবিল দিয়ে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি স্কুল পরিচালনা করছে সংস্থাটি। গত ২০ বছর ধরে ৪০টির বেশি স্কুলে সহায়তা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ১৯টি স্কুলে তিন হাজারেও বেশি সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়েদের শিক্ষা প্রদানসহ, শিক্ষা বিস্তারের নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে আগামী।

এসব স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সব ধরনের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। স্কুল পাঠাগার তৈরি, সহ-শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, স্বাস্থ্যশিক্ষার ব্যবস্থা, ইংলিশ ভাষা শিক্ষা, প্রযুক্তি দক্ষতা উন্নয়নের মতো কার্যক্রমে গভীর মনোনিবেশ করেছে উত্তর আমেরিকাভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি।

একই সঙ্গে তাদের পরিচালিত স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবার ও স্কুলড্রেস দেওয়া হয়। এছাড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও বিনোদনমূলক নানা আয়োজনও থাকে। যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ২০১১ সালে সান ফ্রান্সিসকোর বে এরিয়াতে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. সাবির মজুমদারের হাত ধরে এর কার্যক্রমে যুক্ত হন পারভেজ। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ পারভেজ এর আগে ‘আগামী’র সৌর প্রকল্পে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেছেন।

এছাড়া ২০১৩ সালে তিনি ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন এলাকায় স্থান্তরিত হলে আরও তিনজন সমন্বয়কের সহযোগিতায় সেখানে আগামীর ‘সাউথইস্ট চ্যাপ্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন। সেই চ্যাপ্টারের সভাপতি ও পরবর্তীতে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পরিচালক প্রশাসনের দায়িত্বও পালন করেন পারভেজ।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানসম্মত শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সরকারের এই ভিশনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে সংস্থাটি।

দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজের পরিসর বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন পারভেজ।

পারভেজ বলেন, “গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের প্রয়াসে কাজ করছে ‘আগামী’। কৌশলগত ভূমিকা ও দৃষ্টিভঙ্গিগত অবস্থার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে আমরা চেষ্টা চালাব। এই শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা গেলে এবং তাদের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটানো গেলে অর্থনৈতিক উন্নয়নেও তারা অবদান রাখবে।”