আপনার জিজ্ঞাসা
আস্তাগফিরুল্লাহ ও আল্লাহুমাগফিরলির মধ্যে পার্থক্য কী?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৪৯৪তম পর্বে আস্তাগফিরুল্লাহ ও আল্লাহুমাগফিরলির মধ্যে পার্থক্য কী, সে বিষয়ে মেইলে জানতে চেয়েছেন নিলুফার হোসেন। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : আস্তাগফিরুল্লাহ ও আল্লাহুমাগফিরলির মধ্যে ভাবার্থে কোনো পার্থক্য আছে?
উত্তর : আস্তাগফিরুল্লাহ ও আল্লাহুমাগফিরলির মধ্যে ভাবার্থে কোনো পার্থক্য নেই। প্রথমটাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমার জন্য দরখাস্ত করছেন এবং দ্বিতীয়টিতেও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন। কিন্তু আস্তাগফিরুল্লাহ ও আল্লাহুমাগফিরলির মধ্যে ব্যবহারের দিক থেকে পাথর্ক্য আছে। প্রথমটাতে দোয়া ও জিকিরের অর্থ আছে। দ্বিতীয়টি হলো, এটা পুরোটাই দোয়া।
হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, নবী করিম (সা.) সালাম ফেরানোর পরে তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তেন। এর মধ্যে দোয়ার অর্থ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নবী করিম (সা.) ৭০ বারেরও বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ জিকিরের মধ্যে বলতেন। এর মধ্যে আল্লাহর মুখাপেক্ষীর বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়।
দ্বিতীয়টির মধ্যে তলব রয়েছে। তলব হচ্ছে, আল্লাহর কাছে দরখাস্ত করা। আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন। ফলে দেখা গেছে, রাসুল (সা.) এই কথাটাকে দোয়ার জায়গাগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। সিজদায় নবী (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা আল্লাহুমাগফিরলি। নবী (সা.) দোয়ার ক্ষেত্রে এই কথাটা বলেছেন। তবে ভাবার্থের দিক থেকে বড় ধরনের কোনো পার্থক্য নেই।