কাল মহালয়া, সারা দেশে ৩২ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মিলনায়তনে আজ শনিবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। ছবি : সংগৃহীত

আগামীকাল রোববার মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। যদিও ১ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল আনুষ্ঠানিকতা। সেদিন থেকে পাঁচ দিনের এ উৎসব শেষ হবে ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবে এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে উদযাপন হবে।

আজ শনিবার সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। 

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার জানান, গত বছর সারা দেশে দুর্গাপূজার সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ১১৮টি। এবার এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ১৬৮টি। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ২৪১টি, যা গত বছরের থেকে ৬টি বেশি। 

পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক বলেন, ‘গত বছরের ঘটনার প্রেক্ষাপটে এ বছর সরকার চাচ্ছে, কোনো অবস্থাতেই যেন কোনো অঘটন না ঘটে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি সক্রিয়।’

জে এল ভৌমিক বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দুই লাখের বেশি আনসার সদস্য লাগবে। এর জন্য বরাদ্দও সরকারকে দিতে হয়। আইন প্রয়োগকারী সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো কঠিন হবে এবং এভাবে রক্ষা করা যাবে না। আমরা প্রতিটি মন্দিরে অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছি। তবে, আমরা মনে করি, আমাদের ৩২ হাজারের ১৬৮টি মন্দিরের সুরক্ষা দেওয়া খুব কঠিন। তাই আমরা এ বছর প্রত্যেক মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করছি, যারা রাতেও পাহারা দেবে।’ 

জে এল ভৌমিক আগামী নির্বাচনের আগেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই বারবার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ইশতেহারে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের কথা বলা হয়েছে। আগামী নির্বাচনের আগেই এটা করতে হবে।’

হিন্দু ধর্মীয় নেতারা জানান, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে, করোনার লাগাম ইতোমধ্যে টেনে ধরা গেছে। তাই এবার উৎসবের রঙে ফিরছে দুর্গাপূজা।

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, ‘আমরা এমন একটা পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই, যা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। পূজা, ঈদ, বড়দিন, বুদ্ধপূর্ণিমা—এসব কেন পুলিশের সুরক্ষায় হবে? তার মানে রাষ্ট্রের দুর্বলতা ও ব্যর্থতা আছে।’

গুজব রটলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়া, মণ্ডপে সিসিটিভির ব্যবস্থা করা, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করা—দুর্গাপূজা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে এমন ২১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ।