আপনার জিজ্ঞাসা

বসত বাড়ি না কবরস্থানে কবর দেওয়া উত্তম?

Looks like you've blocked notifications!

 

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।

আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৭৪তম পর্বে বসত বাড়ি না কবরস্থানে কবর দেওয়া উত্তম, সে বিষয়ে ই-মেইলে জানতে চেয়েছেন শাকিল আহমেদ। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।

প্রশ্ন : বসত বাড়ি না কবরস্থানে কবর দেওয়া উত্তম?

উত্তর : ইসলামী শরীয়তে কবরের বিষয়টি সুস্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা যাতে কবরমুখী না হই, কবরের সাথে আমাদের কোনো ইবাদত সম্পৃক্ত না হয়, যাতে আমরা নিজেদেরকে কবর পূজা থেকে বিরত রাখতে পারি, এই জন্য নবী (সা.) আমাদের সতর্ক করেছেন এবং কবরস্থানকে ইবাদত ও মানুষের বসবাসের স্থান থেকে ভিন্ন করে দিয়েছেন। এখান থেকে বোঝা যায় কবরস্থানে কবর দেওয়া সুন্নাহ এবং কবরস্থান মসজিদ বা ইবাদত থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন থাকতে হবে।

মসজিদের পাশে কবরস্থান হতে হবে, এটা মূলত ইসলামী শরীয়তের পরিপন্থী। কারণ নবী করিম (সা.) মসজিদের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন যে, কোনো ভাবেই যেন মসজিদ, ইবাদত এবং কবর এক সঙ্গে না হয়। রাসুল (সা.) কবরমুখী হয়ে সালাত আদায় করতে, কবরে সালাত আদায় করতে, কবরকে উঁচু করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি উঁচু কবর দেখ তাহলে সেটা তোমরা সমান করে দাও। তারপর রাসুল (সা.) নির্দেশনা দিয়েছেন, তোমরা কবরের উপর কোনো ধরনের সৌধ বা কাঠামো নির্মাণ করবে না, কবরে লিখবে না, কবরে বসবে না। 

রাসুল (সা.) আরো বলেছেন যে, তোমরা কবরকে কোনোভাবেই মসজিদে পরিণত করবে না। এই কাজটি ইহুদি ও খ্রিস্টানরা করেছে। এটা মুসলমানদের কাজ নয়। সর্ব শেষ রাসুল (সা.) যে কাজটি করেছেন সেটা হলো, তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন যে, আল্লাহ আমার কবরকে যেন কোনো প্রতিমায় পরিণত না করেন। যে এটার ইবাদত করা হবে, এটার পূজা করা হবে। নবী করিম (সা.) এর বক্তব্য থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি যে, কবর কোনোভাবেই লোকালয়ে, বাজারে, বসত বাড়িতে, মসজিদ বা ইবাদতের স্থানে হবে না বরং কবর হবে সম্পূর্ণ পৃথক স্থানে। কবরস্থানে কবর দিতে হবে এবং কবর যাতে আবমাননা করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।