আপনার জিজ্ঞাসা
রোজার ফিদিয়া কীভাবে দিতে হয়?
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ এবং পরিবার ও সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ৩০১২তম পর্বে টেলিফোনের মাধ্যমে মেহেদী হাসান জানতে চান, রোজার কাফফারা কীভাবে দিতে হয়? অনুলিখন করেছেন রেখা আক্তার।
প্রশ্ন : অসুস্থতার জন্য যদি কেউ রোজা না রাখতে পারি, তাহলে কীভাবে কাফফরা দেব? রোজা ভাঙার কাফফারা কি ঈদের আগেই দিয়ে দিতে হয়? টাকা দিয়ে কি কাফফারা দেওয়া যায়?
উত্তর : ধন্যবাদ, আপনার প্রশ্নের জন্য। অসুস্থতার কারণে কেউ যদি রোজা রাখতে না পারেন, তাহলে তিনি কীভাবে কাফফারা দেবেন সেটা জানতে চেয়েছেন। এটাকে মূলত কাফফারা বলে না, এটাকে বলে ফিদিয়া। আর এই ফিদিয়া দেবেন খাবার দিয়ে। যারা অসুস্থতার জন্য রোজা রাখতে পারেননি তারা খাবার দিয়ে ফিদিয়া দেবেন। প্রতিটি সিয়ামের বিপরীতে একজন মিসকিনকে একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করে দেবেন। এটাই হলো সুন্নাহ। এখন আপনি চাইলে টাকা দিয়েও আদায় করতে পারবেন। সেটিও জায়েজ আছে। তবে খাবার দিয়ে ফিদিয়া আদায় করাটা সুন্নাহ। এবার দ্বিতীয় প্রসঙ্গে আসি। ফিদিয়া যথাসম্ভব দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করবেন। প্রতিটি ফরজ সিয়াম ভাঙলে ওইদিন সন্ধ্যায় ফিদিয়া আদায় করতে পারেন। যতদ্রুত সম্ভব আদায় করে দেবেন। কোনো ওজর থাকলে আলাদা ব্যাপার, কিন্তু চেষ্টা করবেন দ্রুত দেওয়ার। কারণ এটা আল্লাহর কাছে আপনার দেনা। তাই চেষ্টা করবেন দ্রুত দেওয়ার। আর কোনোভাবেই পরবর্তী রমজান পর্যন্ত এই ফিদিয়া বাকি রাখবেন না।