আপনার জিজ্ঞাসা
রমজানে শয়তানকে কি আটকে রাখা হয়?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
রমজানের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার তৃতীয় পর্বে রোজার মাসে শয়তানকে আটকে রাখা হয় কি না, সে সম্পর্কে সাভার থেকে জানতে চেয়েছেন ইফতেখার আলম টুটুল। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : রোজার মাসে শয়তানকে নাকি আটকে রাখা হয়। এটা কতটুকু সত্যি? আর আটকানো হলে মানুষ খারাপ কাজ করে কেন? এটা একটু জানতে চাই।
উত্তর : হ্যাঁ, সহিহ মুসলিমের সহিহ রেওয়ায়েত দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে, শয়তানদের মধ্যে দুষ্ট যেগুলো আছে, সেগুলোকে শিকলে আবদ্ধ করা হয়ে থাকে। আমরা জানি, শয়তান দুই প্রকার। কোরআনে কারিমের শেষ আয়াতটি আপনি যদি একটু তেলাওয়াত করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন, আল্লাহ সুবনাহুতায়ালা শয়তানকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। একটা হচ্ছে জিনদের মধ্য থেকে শয়তান, আরেকটি হচ্ছে মানুষের মধ্য থেকে শয়তান।
জিন শয়তানদেরকে যদিও আটকানো হয়ে থাকে, কিন্তু মানুষ শয়তান থেকে যায়। এই মানুষ শয়তানের যে কাজ রয়েছে, সেই কাজের কারণে মূলত শয়তানি কাজ, খারাপ কাজ কমে না। মানুষ শয়তানকে তো আর শিকলে আবদ্ধ করা যায় না, মানুষের সেই প্রবৃত্তি রয়েই যায়। ফলে মানুষ শয়তান এখানে সবচেয়ে বেশি কাজ করে থাকে। মানুষের মধ্যে যে শয়তানি দিকগুলো আছে, সেগুলোকে আরো উসকে দেয়, সুযোগ করে দেয়।